স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে না এলে জনগণ ভোট দিতে আসবে না-এমন দুঃস্বপ্ন দেখে লাভ নেই। দেশের সাম্প্রতিক নির্বাচনে ভোটারদের রয়েছে সরব উপস্থিতি।’ গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর পল্লবীতে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের রূপনগর ও পল্লবী থানার অর্ন্তগত ছয়টি ওয়ার্ডের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন। বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে আসুন, শক্তি যাচাই করুন। জনগণ কাকে ভোট দেয়।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। গাজীপুর সিটিতে ৫০ শতাংশ, গাইবান্ধা উপনির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট গণনা হয়েছে। আর বিএনপি বলছে, ভোটে নাকি জনগণের আগ্রহ নেই।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘লাফালাফি করে লাভ নেই। আওয়ামী লীগ মোকাবিলা করবে। স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, বাংলাদেশের জঙ্গিবাদী শক্তি, অর্থপাচারকারী, দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সংগ্রাম, শেখ হাসিনার সংগ্রাম চলছে, চলবে।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা বলেছিল আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না। তত্বাবধায়ক সরকারের সেই নির্বাচনে বিএনপিই পেয়েছিল (২৯+১) ৩০টি আসন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার হলেই কি আপনারা জিতে যাবেন? ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক মরে গেছে, আর হবে না। আমরা কবরে পাঠাইনি, আদালত পাঠিয়েছে।’ সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশ কখনো ঋণখেলাপি হয়নি। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ বাজেট সহযোগিতা দিয়েছে। বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপি তুলকালাম করেছে, তারা দিয়েছে খাম্বা, আর আওয়ামী লীগ দিয়েছে বিদ্যুৎ। তাপমাত্রা কমেছে, লোডশেডিংও কমেছে। কিছুদিন পর লোডশেডিং থাকবে না। কিছু কিছু দ্রব্যের মূল্য কমতে শুরু করেছে, আরও কমবে। সয়াবিন তেলের দাম ১০ টাকা লিটারে কমেছে।’ সম্মেলনে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন নিখিল, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাসহ মহানগর যুবলীগের নেতারা।