বরিশাল ও খুলনা সিটি নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকার বিজয়
কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুই সিটির ভোটগ্রহণ সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার: বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকার বিজয় হয়েছে। বেসরকারি ফলাফলে বরিশালে ৫৩ হাজার ৪০৭ ভোট বেশি পেয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) এবং খুলনায় ৯৪ হাজার ৭৬১ ভোট বেশি পেয়ে তালুকদার আব্দুল খালেক মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে দক্ষিণের দুই সিটিতে সোমবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বরিশাল শিল্পকলা একাডেমিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফলাফল ঘোষণা করেন। বেসরকারি ফলাফলে নৌকার আবুল খায়ের আবদুল্লাহ পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৭৫২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখার সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৪৫ ভোট। বরিশাল সিটি করপোরেশনের মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৪ জন। এই সিটিতে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১২৬টি।
অন্যদিকে, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির এ ফলাফল ঘোষণা করেন। বেসরকারি ফলাফলে নৌকার তালুকদার আব্দুল খালেক পেয়েছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মো. আব্দুল আউয়াল পেয়েছেন ৬০ হাজার ৬৪ ভোট। অর্থাৎ ৯৪ হাজার ৭৬১ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তালুকদার আব্দুল খালেক। আর লাঙল প্রতীকের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু পেয়েছেন ১৮ হাজার ৭৪ ভোট। খুলনা সিটি করপোরেশনের মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এই সিটিতে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ২৮৯টি। এর আগে, এক মেয়র প্রার্থীর ওপর আকস্মিক হামলা, এজেন্ট বের করে দেয়া এবং ইভিএমে ভোট দিতে বিলম্বের অভিযোগের মধ্যে শেষ হয় বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সোমবার সকাল ৮টায় দুই নগরীর ৪১৫টি ভোট কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে। বরিশালে এক প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনা ছাড়া বড় কোনো গোলযোগ কোথাও ঘটেনি। অবশ্য বিকালে বরিশালে কিছু সময়ের জন্য ভোটাদের ভুগিয়েছে বৃষ্টি। খুলনায় ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবেই। নির্বাচন কমিশনের ধারণা, বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। বরিশালে দুপুরের দিকে নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল করিমের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। এতে তিনিসহ দলের বেশ কিছু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নগরের বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কয়েকশ নেতাকর্মী শহরের দুটি স্থানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। দলটি হামলা-মারধর-হয়রানি, পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেয়া, কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়া, ভোটারদের বাধা দেয়া, জোরপূর্বক ভোট দেয়ারও অভিযোগ করে। সৈয়দ ফজলুল করিমের ওপর হামলার ঘটনার পর ইসলামী দলীয় নেতাকর্মী-সমর্থকরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
এদিকে, এদিন দুপুরে নগরীর ছাবেরা খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার পর হাতেম আলী কলেজ চৌমাথার কাছে এ হামলার ঘটনায় হাতপাখার প্রার্থী বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ দিয়ে বের হয়ে ফয়জুল করিম বলেন, ৩০-৪০ জন ‘নৌকা সমর্থক’ অতর্কিতভাবে এই হামলা চালায়।
এদিকে, বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র পদপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিমের ওপর হামলার ঘটনা তদন্ত করে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেছেন, ‘বরিশালের একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ছাড়া খুব সুন্দর ভোট হয়েছে। সবখানে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। আমরা আশা করি, ৫০%-এর কমবেশি ভোট পড়বে খুলনা ও বরিশালে।’ খুলনায় এক কেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা থেকে ফোন করে সংবাদকর্মীদের কাজ নির্বিঘœ করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার দুপুরে ভোট চলাকালে খুলনার সেন্ট জোসেফ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সাংবাদিক প্রবেশে বাধা দেয়া হয়। অভিযোগ পাওয়ার পর ঢাকার নির্বাচন ভবনে পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকেই সেই ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান। সাংবাদিকদের খবর সংগ্রহে বাধা না দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘ইসির ভাবমূর্তি যাতে ক্ষুণœ না হয়, সে বিষয়ে নজর দিতে হবে। সাংবাদিকরা যাতে বিধি মেনে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, সেজন্য তাদের সহযোগিতা দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান মোবাইল ফোনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে বলেন, সাংবাদিকরা যে কোনো কেন্দ্রে যতজন খুশি প্রবেশ করবেন। সাংবাদিকরা কেন্দ্রে ঢোকার পরে আপনাকে অবহিত করবে যে ‘আমরা এসেছি, এটা পারমিশন (অনুমতি) না। এরপর এই সাংবাদিকরা দুজন করে একটি ভোট কক্ষে ঢুকতে পারবে। ভোটকক্ষে গিয়ে ভিডিও নিতে পারবে, দেখতে পারবে এবং বাইরে এসে লাইভ করতে পারবে। সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো ‘ভুল বোঝাবুঝি’ যাতে না হয়, সে বিষয়ে নজর দিতে নির্দেশ দেন এ নির্বাচন কমিশনার। পরে রিটার্নিং অফিসারকে ফোন করে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ভোট কক্ষে সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবে না, ছবি নিতে পারবে; দুজন করে প্রবেশ করতে পারবে। ভোটকক্ষের বাইরে এসে সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবে। বিষয়গুলো জানিয়ে দাও এবং প্রিসাইডিং অফিসাররা যাতে সাংবাদিকদের বাধা না দেয়।’
অন্যদিকে, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এক ওয়ার্ডের ভোটার অন্য ওয়ার্ডে প্রবেশ করে ভোট কেন্দ্রের সামনে ভিড় করায় ৪ জনকে দন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার দুপুরে নগরীর ১৮নং ওয়ার্ডের ন্যাশনাল গার্লস হাই স্কুলের সামনে থেকে তাদের চারজনকে আটক করা হয়। এর মধ্যে আকরাম হোসেন নামে একজনকে ৫০০ টাকা জরিমানা। এছাড়া তাওহীদুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ ও মিরাজুল ইসলামকে অন্য এলাকায় প্রবেশ না করার শর্তে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি দেয়া হয়। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান জানান, আটক ব্যক্তিরা ১৭নং ওয়ার্ডের ভোটার। তারা ১৮নং ওয়ার্ডে প্রবেশ করে ভোট কেন্দ্রের সামনে বিশৃঙ্খলা করছিলেন। তাদের জরিমানা করা হয়েছে।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সরকারি বরিশাল কলেজ কেন্দ্রে নিজের ভোট দেন খায়ের আব্দুল্লাহ। এরপর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তিনি তার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তবে ফলাফল যা-ই হোক, তা তিনি মেনে নেবেন। সকাল সোয়া ৮টায় শহরের রূপাতলী হাউজিং এলাকার শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন বরিশাল সিটিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল করিম। ভোট দিয়ে তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক সকাল ৯টা ২০ মিনিটে নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন। এরপর সাংবাদিকদের বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনে জনগণ এর আগে যে রায় দিয়েছিলেন সেটি তিনি মেনে নিয়েছিলেন। এবারও জনগণের রায় মেনে নেবেন। খুলনা সিটিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী আব্দুল আউয়াল ভোট দেন নগরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম বানিয়াখামার দারুল কুরআন বহুমুখী মাদরাসা কেন্দ্রে। ভোট দিয়ে তিনি তার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সেই সঙ্গে ইভিএমে ভোট দিতে বিভ্রাটের অভিযোগ করেন তিনি।
বরিশাল সিটিতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম, জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস, জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু, টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন, হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান ও হরিণ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী হোসেন হাওলাদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ৩০টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ১০টি পদের বিপরীতে ৪২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
খুলনায় ভোটাররা জানিয়েছেন, ইভিএমে ভোট দিতে বেশি সময় লাগছে। এতে ভোটারদের দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। তবে প্রিসাইডিং অফিসাররা বলেছেন, ভোটের গতি ছিল স্বাভাবিক।
এদিকে, খুলনা সিটি করপোরেশনের একটি কেন্দ্রে সত্তরোর্ধ্ব এক নারী ভোটারের আঙুলের চাপে ইভিএম বিকল হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এতে ওই কেন্দ্রের একটি কক্ষে ২০ থেকে ২৫ মিনিট ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। এতেই দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়। পরে আরেকটি যন্ত্র বসিয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর শেখপাড়ায় পল্লীমঙ্গল শেখ হাতেম আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার মল্লিক বলেন, ওই নারী ভোটার এত জোরে ইভিএমের ব্যালট প্যানেলে চাপ দিয়েছিলেন যে এটা নষ্ট হয়ে গেছে। পরে টেকনিশিয়ান এনে আরেকটি যন্ত্র বসানো হয়েছে।
প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আরও বলেন, ব্যালট প্যানেলের ১০টি সুইচের মধ্যে ১টিতে ওই নারী অনেক জোরে চাপ দিয়েছেন। পরে সুইচটি আর ওঠেনি। টেকনিশিয়ান পাশের কেন্দ্রে ছিলেন। যানবাহন বন্ধ থাকায় ওনার আসতে সময় লেগেছে। পরে আরেকটি বসানো হলে ওই কক্ষে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক (নৌকা), জাতীয় পার্টি মনোনীত শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত আব্দু আউয়াল (হাতপাখা) ও জাকের পার্টি মনোনীত এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপফুল) এবং একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক (দেওয়াল ঘড়ি)। সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন, ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে এস এম খুরশিদ আহমেদ টোনা এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে জেড এ মাহমুদ ডন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে, সকাল থেকেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা ও নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন।