ফেলানী হত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে দুদু

বন্ধু রাষ্ট্র জনগণের হত্যাকারীকে আশ্রয় দিতে পারে না

স্টাফ রিপোর্টার: কোনো বন্ধু রাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণের হত্যাকারী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেছেন, গত পাঁচ মাস আগে ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানে যে হত্যাকা- চালিয়েছে, সেই হত্যাকারী স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে আরেকটি হত্যাকারী দেশ, যারা ফেলানীকে হত্যা করেছে সীমান্তে, বাংলাদেশিদেরকে হত্যা করছে। আমাদেরকে বন্ধু দাবি করা রাষ্ট্র ভারত আমার দেশের সাধারণ জনগণের হত্যাকারীকে আশ্রয় দিয়েছে। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে ফেলানী হত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাংলাদেশে যাতে ভালো নির্বাচন না হয়। রাজনৈতিক সরকার যাতে ক্ষমতায় না আসে সেই চেষ্টায় ভারত চালিয়ে যাচ্ছে। ওই ফাঁদে আপনারা পা দেবেন না। ওই ফাঁদে পা দেয়া যাবে না। হাসিনা ওই ফাঁদে পা দিয়েছিল বলে সে নির্বাচনের বাইরে চলে গিয়েছিল। ড. মুহাম্মদ ইউনুস নির্বাচনের কথা যেটা বলেছেন এই বছরের শেষে এবং আগামী বছরের শুরুতে সেটা আমরা সমর্থন জানাই। ওই সময়ের মধ্যে আমরা যদি নির্বাচনটা করতে পারি তাহলে বাংলাদেশের যে সংকট তৈরি হয়েছে।
‘বাজারে আগুন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ব্যবসা-বাণিজ্যের অচলাবস্থা, জনগণের মধ্যে অস্থির অবস্থা এই গুলো কাটিয়ে উঠতে আমাদেরকে নির্বাচনের দিকে হাঁটতে হবে। আমরা যদি এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে পারি তাহলে আমার প্রত্যাশা আমরা এইসব সংকট থেকে মুক্ত হব। তাই এখন সরকারের উচিত অনতিবিলম্বে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।’
কৃষকদলের সাবেক এই আহবায়ক বলেন, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যতম নেতা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে উন্নত করার লক্ষ্যে। ভুটান, নেপাল আফগানিস্তান বন্ধুত্ব সম্পর্ক স্থাপন করেন এবং সার্ক গঠন করেন। কিন্তু ভারতের অসহযোগিতার কারণে সার্ক বিলুপ্তির পথে।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ ভারতকে বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে মনে করে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে এমন কোন পদক্ষেপ এ পর্যন্ত নেয়নি, যেটা বন্ধু রাষ্ট্রের প্রতি কোন দেশ নিয়েছে। কিন্তু ভারত বাংলাদেশকে বন্ধু রাষ্ট্র মনে করেনি। আজ ৫৩ বছরের ঘটনাবলীকে যদি আমি সামনে আনি তাহলে মনে হবে, ভারতে এযাবতকালে যখনই যে পদক্ষেপ নিয়েছে, সেটা কোনো বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ, বন্ধু রাষ্ট্র নিতে পারেনা। অথচ ভারত দাবি করে তারা আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা যে অস্ত্রগুলো ফেলে গিয়েছিল সেগুলো ভারতের সেনাবাহিনী লুটপাট করে নিয়ে গেছে। দেশের সম্পদ নানান ভাবে লুটপাট করে নিয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More