দেশে করোনায় আরও ২০ জনের মৃত্যু
স্টাফ রিপোর্টার: দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের হার আড়াই শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। একই সঙ্গে শনাক্ত করোনা ভাইরাসের রোগীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ মাস পর ৫০০-এর নিচে নেমেছে। গতকাল শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৬ হাজার ৯২৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৪১৫ জন রোগী শনাক্ত হয়। সেই হিসাবে এ সময়ে শনাক্তের হার ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ। শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ২০ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, যা আগের দিন ছিল ৭। সেই হিসাবে আগের দিনের চেয়ে প্রায় তিন গুণ মৃত্যু বেড়েছে।
কোভিড-১৯ মহামারিতে দেশে গতকাল পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৭ হাজার ৬৭৪। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬১ হাজার ৮৭৮। গত ১৬ মে’র পর দৈনিক সংক্রমণের এটাই সর্বনিম্ন সংখ্যা। ১৬ মে ৩৬১ রোগী শনাক্তের খবর এসেছিলো। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছে ৫৪৩ জন, তাদের নিয়ে এই পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠলো ১৫ লাখ ২৩ হাজার ১৩৪ জন। এই হিসাবে দেশে এই মুহূর্তে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১১ হাজার; করোনা ভাইরাসের ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের দাপটে জুন-জুলাই মাসে এই সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছিলো। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ; মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। গত এক দিনে শুধু ঢাকা বিভাগেই ২৬২ জনের মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা দিনের মোট শনাক্তের ৬৩ শতাংশের বেশি।
একদিনে মারা যাওয়া ২০ জনের মধ্যে ৯ জন ঢাকা বিভাগের, চারজন চট্টগ্রাম বিভাগের, তিনজন রংপুর বিভাগের, দুইজন ময়মনসিংহ বিভাগের এবং একজন করে মোট দুই জন খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। রাজশাহী ও সিলেট বিভাগ থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো মৃত্যুর খবর আসেনি। গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। তিন জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং দুই জন করে মোট ছয় জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০, ৩১ থেকে ৪০ ও ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল। তাদের মধ্যে ১৭ জন সরকারি হাসপাতালে এবং তিন জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাদের ১২ জন ছিলেন পুরুষ, আর আট জন নারী।