স্টাফ রিপোর্টার: দেশে করোনা পরিস্থিতির দাপট কমতে শুরু করেছে। কয়েকদিন ধরে মৃত্যু, সংক্রমণ ও শনাক্তের হার নিম্নমুখী। হাসপাতালগুলোয় ভিড় কমছে নতুন রোগীর। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ও সংক্রমণ কিছুটা বাড়লেও কমেছে শনাক্তের হার। জুলাইজুড়ে শনাক্তের হার ছিল ৩০ শতাংশের আশপাশে। আগস্টের শুরু থেকে কমছে এ হার। ১ আগস্ট শনাক্তের হার ছিল ২৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ। রোববার এ হার দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ১৬ শতাংশ, যা ১৭ জুনের পর সর্বনিম্ন। তিন সপ্তাহে সংক্রমণের হার কমেছে প্রায় ১৫ শতাংশ। শনিবার শনাক্তের হার ছিল ১৬ দশমিক ৭১ শতাংশ।
এদিকে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংক্রমণ কমলেও রাজধানীর আশপাশের জেলায় এখনো উদ্বেগজনক। ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা জেলায় (মহানগরসহ) শনাক্তের হার ছিল ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ। গাজীপুরে শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আর মুন্সীগঞ্জে এ হার ৪৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিন মারা যান ১২০ জন। সব মিলিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৫ হাজার ২৮২। আগের দিনের চেয়ে নমুনা পরীক্ষা বেশি হওয়ায় নতুন রোগী শনাক্ত বেড়েছে। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ৮০৪ জন। আগের দিন শনাক্ত হয়েছিল ৩ হাজার ৯৯১ জন। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৪ লাখ ৬১ হাজার ৯৯৮। সরকারি হিসাবে একদিনে সেরে উঠেছেন ৮ হাজার ৪৫৩ জন। তাদের নিয়ে এই পর্যন্ত ১৩ লাখ ৬৩ হাজার ৮৭৪ জন সুস্থ হলেন। রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারে গত জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হুহু করে বাড়তে থাকে। এ মাসের প্রথম সপ্তাহ পর কমতে থাকে সংক্রমণ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০ আগস্ট তা ২৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ