দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৭৭৮ জনে। এ ছাড়া দেশে নতুন করে ৮ হাজার ৪৮৩ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ, এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এখন পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৩০ হাজার ৪২ জনে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫৬৬টি পরীক্ষাগারে ৩০ হাজার ১২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, যা আগের ২৪ ঘণ্টার চেয়ে ২ হাজার ৪৩টি কম। এর আগে গত ৩০ জুন দেশে সবচেয়ে বেশি ৮ হাজার ৮২২ জন রোগী শনাক্ত হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার গত ৩ অগাস্ট ছিল সর্বোচ্চ। ওইদিন শনাক্তের হার ছিল ৩১ দশমিক ৯১ শতাংশ। গত ১ জুলাই করোনায় দেশে সবচেয়ে বেশি ১১৯ জনের মৃত্যু হয়।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ হাজার ৫০৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ নিয়ে দেশে সুস্থ হলেন মোট ৮ লাখ ২৫ হাজার ৪২২ জন। শতকরা হিসাবে দেশে সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯। ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৮১ জন পুরুষ ও ৫১ জন নারী। তাদের মধ্যে ৯৯ জন সরকারি হাসপাতালে, ২০ জন বেসরকারি হাসপাতালে ও ১৩ জন বাড়িতে মারা গেছেন। শতকরা হিসাবে পুরুষ রোগীদের মৃত্যুর হার ৭১ দশমিক ০২ শতাংশ, নারীদের ২৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মৃতদের মধ্যে ৬৭ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি, ৩০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ২০ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ১৪ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে।
শূন্য থেকে ১০ বছরের রোগীর মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছরের রোগীদের মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৯০ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার ২৪ দশমিক ১৬ শতাংশ, ষাটোর্ধ্ব রোগীদের মৃত্যুর হার ৫৬ দশমিক ০৮ শতাংশ।
এলাকাভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ৩০ জন, চট্টগ্রামে ২৪ জন, রাজশাহীতে ২৪ জন, খুলনায় ৩৫ জন, বরিশালে ২ জন, সিলেটে ২ জন, রংপুরে ৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ জন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর শতকরা হার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৫১ দশমিক ৭৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ, রাজশাহীতে ৭ দশমিক ২৯ শতাংশ, খুলনায় ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ, বরিশালে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ, সিলেটে ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ, রংপুরে ৪ দশমিক ২৪ শতাংশ, ময়মনসিংহ বিভাগে ২ দশমিক ২১ শতাংশ রোগী মারা গেছেন।