আরও ২৪ লাখ ৯১ হাজার ডোজ ফাইজার টিকা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশকে আরও প্রায় ২৪ লাখ ৯১ হাজার ডোজ ফাইজারের টিকা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় এসব টিকা দেশে এসেছে। শনিবার সকাল সাড়ের ৮টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৭৮০ ডোজ ফাইজারের এই টিকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ অফিসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আগামী ১০ জানুয়ারি আরও ৪৬ লাখ ডোজ ফাইজার টিকার পরবর্তী চালান চলে দেশে আসার কথা রয়েছে। এদিকে গত এক সপ্তাহে আগের সপ্তাহের তুলনায় ৬০ শতাংশ সংক্রমণ বেড়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে। অধিদপ্তরের পরিচালক (অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ) অধ্যাপক রোবেদ আমিন রোববার দুপুরে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
রোবেদ আমিন বলেন, ২০ ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। ২৭ ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ ২ শতাংশ পার হয়ে যায়। নভেম্বরে দেশে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ছিলো ৬ হাজার ৭৪৫। ডিসেম্বরে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৯ হাজার ২৫৫ জনে।
করোনা শনাক্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে। শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও।
করোনায় বর্তমানে যাদের মৃত্যু হচ্ছে তাদের বেশিরভাগেরই বয়স ৫০-এর বেশি। তবে ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সি মানুষের মধ্যে মৃত্যুর হার ১১।
রেকর্ড রেমিট্যান্স এলো দেশে
স্টাফ রিপোর্টার: বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে গত ডিসেম্বর মাসে প্রবাসীরা ১৬২ কোটি ৯০ লাখ (১.৬২ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন দেশে। নভেম্বর মাসের তুলনায় যা ৭ কোটি ডলার বেশি। করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ ও নানা সংকটের কারণে টানা ছয় মাস কমেছে প্রবাসী আয়। তারপরও সদ্য সমাপ্ত বছরে বাংলাদেশে এসেছে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স। ২০২১ সালে রেকর্ড দুই হাজার ২০৭ কোটি মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এর আগে কোনো বছর এত বেশি রেমিট্যান্স দেশে আসেনি। তবে একক বছরে রেমিট্যান্স বাড়লেও চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে প্রায় ২১ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বর মাসে ১৬৪ কোটি ৯০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ফলে সব মিলিয়ে সদ্য সমাপ্ত ২০২১ সালে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে ২ হাজার ২০৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ এক লাখ ৮৯ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকার বেশি; (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ৮০ পয়সা ধরে)। যা ইতিহাসে একক বছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রাপ্তি। এর আগের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিলো ২০২০ সালে ২ হাজার ১৭৪ কোটি ডলার এবং ২০১৯ সালে এক হাজার ৮৩৩ কোটি ডলার।
তবে গত বছর রেমিট্যান্স বাড়লেও প্রবাসী আয় অর্থবছর বিবেচনায় এখনো নেতিবাচক অবস্থানে রয়েছে । চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ২৩ কোটি ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময় ছিলো এক হাজার ২৯৪ কোটি ডলার। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রেমিট্যান্স কমেছে ২৭০ কোটি ডলার বা ২০ দশমিক ৯১ শতাংশ।
ভারতের সঙ্গে ট্রানজিট চালু করতে আরও ট্রায়াল প্রয়োজন: নৌ প্রতিমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার: ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ট্রানজিট চালু করতে আরও কয়েক দফা ট্রায়ালের প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ট্রানজিট চালু করতে আমরা একটা ট্রায়াল করেছি। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের আরও অভিজ্ঞতা অর্জনের বিষয় রয়েছে। সেজন্য আমরা ভারতের কর্তৃপক্ষকে বলেছি আমাদের আরও দুয়েকটা ট্রায়াল প্রয়োজন। সফল হলে পুরোপুরি চালু হবে। রোববার চট্টগ্রাম বন্দরের বহরে যুক্ত টাগবোট কা-ারি-৬ ও বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি নিয়ে সচিবালয়ে আলোচনা হয়েছে, যেখানে বন্দর কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানেও আমরা বলেছি, বাংলাদেশের স্বার্থটা আগে। সরকারের অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্প চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনালের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি দ্রুত বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কাজ করছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করেছে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিতে পারলে আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে। কাজের একটি অংশ বাস্তবায়ন করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বাকি অংশ পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে বাস্তবায়ন হবে।
যে কারণে বাংলাদেশ সীমান্তে নারী কনস্টেবল মোতায়েন করল বিএসএফ
স্টাফ রিপোর্টার: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নারী কনস্টেবল মোতায়েন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বিএসএফ কর্মকর্তারা জানান, নারীরা প্রায়শই সীমান্ত অতিক্রম করেন এবং ভারতে পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ কারণে নারী পাচারকারীদের হাত থেকে সীমান্ত সুরক্ষায় এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রোববার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মিন্ট’র প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
খবরে বলা হয়েছে, সীমান্তের হরিদাসপুর-জয়ন্তীপুর বর্ডার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত শুরুর পয়েন্ট। সীমান্তের ওই পাশে একটি গ্রাম আছে, যেটি আংশিকভাবে ভারতের অন্তর্গত। ওই গ্রামে ৫৬ জন নারী বাস করেন, যারা প্রায়শই উভয় দেশ ভ্রমণ করেন। তাই ভারতে প্রবেশের আগে তাদের তল্লাশির জন্য সীমান্তে নারী কনস্টেবল মোতায়েন করা হয়েছে।
সীমান্তে নিয়োগপ্রাপ্ত কনস্টেবল সুহাসিনী পুহান বলেন, ওই গ্রাম থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরত্বে বাংলাদেশের সীমান্ত। এই গ্রামের বেশ কিছু বাসিন্দা অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত, যার কারণে আমাদের দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ওই গ্রামের নারীরা যেনো ভারতে কোনো কিছু পাচার করতে না পারেন, তাই আমরা তাদের তল্লাশি করি।
সুহাসিনী পুহান বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যখন ওই গ্রামে অভিযানে যান, সেসময় আমরাও তাদের সঙ্গে থাকি।’ সংবাদমাধ্যম মিন্ট’র প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের হরিদাসুর-জয়ন্তীপুর বর্ডার ফাঁড়িতে ৩৬ জন নারী কনস্টেবল মোতায়েন করা হয়েছে। এই সীমান্তের কিছু অংশে কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় এখানে টহল পরিচালনা বড় উদ্বেগের কারণ।