আলমডাঙ্গা ব্যুরো: দীর্ঘ ১৭ বছরের সংসার আবার জোড়া লাগালেন আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান। রোবববার দিনভর বৈঠকের মাধ্যমে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমানের দক্ষ মধ্যস্থতায় ১৭ বছরের সংসার আবার জোড়া লাগিয়ে দেন।
জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার আঠারখাদা গ্রামের ইউসুফ আলীর মেয়ে লতিকা খাতুনের সাথে প্রায় ১৭ বছর আগে একই উপজেলার নতিডাঙ্গা গ্রামের মৃত আরশেদ আলীর ছেলে ফজলে আলীর বিয়ে হয়। ১৭ বছরে তাদের সংসারে আছে ৩ ছেলে সন্তান। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে ফজলে আলী যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করেন। সময় অতিক্রান্তের সাথে সাথে তাদের সংসারে অশান্তি বাড়তে থাকে। দীর্ঘ ১৭ বছরে এসেও এ অশান্তির অগ্নি বেড়েছে বৈ কমেনি। প্রায় ১ বছর আগে ফজলে আলী ৩ সন্তানসহ স্ত্রী লতিকা খাতুনকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। অসহায় লতিকা খাতুন তিন সন্তান নিয়ে ওঠেন পিতার বাড়িতে। প্রায় ১ বছরের অধিককাল তিনি ৩ সন্তান নিয়ে বাপের বাড়িতে মানবেতর জীবন যাপন করে আসছিলেন। এ নিয়ে উভয় গ্রামে একাধিক সালিস বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তাদের দাম্পত্য সমস্যা মেটেনি। এক পর্যায়ে গত ৭ জুন লতিকা খাতুন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের অফিসে উপস্থিত হয়ে এ সম্পর্কে লিখিত অভিযোগ দেন। পরে পুলিশ সুপার সব বিবেচনা করে ১৭ বছরের সংসার যেনো ভেঙে না যায় এমন উদ্যোগ নিতে আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমানকে পরামর্শ দেন। শেষ পর্যন্ত পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমানের দক্ষ মধ্যস্থতায় গতকাল রোববার তাদের ১৭ বছরের সংসার আবার জোড়া লেগেছে। ৩ সন্তানসহ লতিকা খাতুন ফিরে গেছেন স্বামীর সাথে নিজ সংসারে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ