স্টাফ রিপোর্টার: রান্নার কাজে বহুল ব্যবহৃত এলপি গ্যাসের ১২ কেজির দাম ১ হাজার ২১৯ টাকা এবং যানবাহনে ব্যবহৃত অটোগ্যাস লিটার প্রতি ৫৬.৮৫ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। টানা কয়েকমাস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর মে মাস থেকে কমতে থাকে এলপি গ্যাসের দাম। মে মাসে এলপি গ্যাসের দর ছিল (১২ কেজি) ১ হাজার ৩৩৫ টাকা, অটোগ্যাস লিটার প্রতি ৬২.২১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। মঙ্গলবার ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন দর ঘোষণা করে বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল। অন্যদের মধ্যে অংশ নেন কমিশনের সদস্য মকবুল ই-এলাহী চৌধুরী, মোহাম্মদ আবু ফারুক, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, কামরুজ্জামান, সচিব খলিলুর রহমান খান। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বাড়ন্ত এলপি গ্যাসের দর এপ্রিলে (১২ কেজি) গিয়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৪৩৯ টাকায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোর সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায় এ বছর। এপ্রিল মাসে (সৌদি আরামকো) সর্বোচ্চ দর ওঠে প্রপেন ৯৪০, বিউটেন ৯৬০ ডলার। ২০১৪ সালের পর আর কখনও এতো বেশি দরে বেচাকেনা হয়নি। বাংলাদেশে রান্নার কাজে বহুল ব্যবহৃত জ্বালানি পণ্যটি। মে মাসে কমে যথাক্রমে টন প্রতি দাম দাঁড়ায় ৮৫০ ও ৮৬০ ডলারে। চলতি মাসে গড়মূল্য ৬৬৩.৫০ ডলারে নেমে এসেছে। তবে ডলার ঊর্ধ্বমুখী দরের কারণে সেভাবে সুবিধা পাচ্ছেন না ভোক্তারা। সাংবাদিক সম্মেলনে বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, কেউ বেশি দাম চাইলে ভোক্তা অধিদফতরে অভিযোগ দিন, অথবা আমাদেরকে জানান। অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যে ভোক্তা অধিদফতর বেশ কিছু অভিযান পরিচালনা করেছে। গত বছরের ১২ এপ্রিলের আগে পর্যন্ত এলপিজির দর ছিল কোম্পানিগুলোর ইচ্ছাধীন। ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো দর ঘোষণা করে বিইআরসি। তখন বলা হয়েছিল আমদানি নির্ভর এই জ্বালানির সৌদি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত দরকে ভিত্তি মূল্য ধরা হবে। সৌদির দর উঠানামা করলে ভিত্তিমূল্য উঠানামা করবে। অন্যান্য কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। ঘোষণার পর থেকে প্রতিমাসে এলপিজির দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি।