দর্শনা অফিস: দর্শনা আকন্দবাড়িয়া গ্রামে গভীর রাতে পাঁচিল টপকে বাড়িতে ঢুকে দুবোনকে ধর্ষণের অপচেষ্টায় ব্যর্থ এলাকার চিহ্নিত মাদককারবারী ওয়ালিদ ও মিঠুন শেষ পর্যন্ত ফসকে গেলো। দু মাতালের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলেও হয়নি কোনো সুফল। বরং শাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়েছে। দর্শনা আকন্দবাড়িয়া ফার্মপাড়ার আব্দুল মিয়ার স্ত্রী ছোট বুড়ি এলাকার চিহ্নিত মাদককারবারীদের অন্যতম একজন। সম্প্রতি মাদকের একটি মামলায় ছোট বুড়ি রয়েছেন জেলহাজতে। ফলে বাড়িতে থাকেন দু’ মেয়ে তানজিলা ও রুমানা। তানজিলা বিবাহিত হলেও মায়ের অনুপস্থিতির কারণে কুমারী বোনের কাছে রয়েছেন বাবার বাড়িতেই।
তানজিলা ও রুমানার অভিযোগে জানা গেছে, তাদের মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে আকন্দবাড়িয়া তামালতলাপাড়ার দাউদ হোসেনের ছেলে ওয়ালিদ ও ফার্মপাড়ার শাহাবুলের ছেলে মিঠুন মদ্যপ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাত দুটোর দিকে বাড়ির পাঁচিল টপকে ভেতরে ঢোকে। অভিযুক্ত দুজনের হাতে ধারালো অস্ত্র ও দড়ি ছিলো। মিঠুন ও ওয়ালিদ জোরপূর্বক তানজিলা এবং রুমানাকে ধর্ষণের অপচেষ্টা চালালে ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত তানজিলার গলায় থাকা প্রায় ১ ভরি ওজনের চেন ছিঁড়ে নিয়ে পালিয়েছে বলেও মিঠুন ও ওয়ালিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরদিন শুক্রবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন আব্দুল মিয়া। সকালে অভিযোগ করলেও বিকেলেই থানা চত্বরে সালিসে বসেন অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাজীব। দুপক্ষের উপস্থিতিতে সালিসে আব্দুল মিয়া ও তার মেয়েদের শাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করিয়ে নিয়েছেন বলে দারোগা রাজীবের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তোলা হয়েছে। মিঠুন ও ওয়ালিদ এলাকার চিহ্নিত মাদককারবারীচক্রের অন্যতম হোতা বলেও উঠেছে অভিযোগ। এ ব্যাপারে এসআই রাজীবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওইটা কোনো ঘটনায় না। দুপক্ষকে নিয়ে থানায় বসে সালিসের মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে। এদিকে থানার সালিসে নারাজ তানজিলা ও রুমানা। তারা ঘটনার সঠিক তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। পক্ষান্তরে মিঠুন মোবাইল ফোনে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এলাকার চিহ্নিত মাদককারবারী রশিদা এ খেলা খেলাচ্ছে মেয়ে দুজনকে দিয়ে।