স্টাফ রিপোর্টার: সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্রনির্মাতা তারেক মাসুদের মৃত্যুতে তার পরিবারকে ৪ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫২ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ মঙ্গলবার ওই সময় পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। এর আগে তারেক মাসুদের পরিবারের পক্ষে সময়ের আরজি জানান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রমজান আলী শিকদার। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রমজান আলী শিকদার আদালতে বলেন, তারেক মাসুদের পরিবারের পক্ষে আগে আইনজীবী সারা হোসেন শুনানি করেছেন। তিনি দেশের বাইরে আছেন। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে (৮ ডিসেম্বর) তার দেশে ফেরার কথা। পরে আদালত ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। এ সময় রিলায়েন্স ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তারেক মাসুদের পরিবারের করা ক্ষতিপূরণ মামলায় ২০১৭ সালের ৩ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ের পর বাস মালিক ও বাদীপক্ষ ২০১৯ সালে আপিল বিভাগে পৃথক আপিল করে। আপিল দুটি একসঙ্গে শুনানির জন্য ওঠে। আপিলের ওপর গত ১১ অক্টোবর শুনানি শুরু হয়। এরপর আংশিক দ্রুত হিসেবে আপিল দুটি একসঙ্গে শুনানির জন্য কার্যতালিকার ৯ নম্বর ক্রমিকে ছিল। ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর। তাদের বহণকারী মাইক্রোবাসটির সঙ্গে চুয়াডাঙ্গাগামী একটি বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে পাঁচজন প্রাণ হারান। দুর্ঘটনার পর তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের পরিবার মানিকগঞ্জ জেলা জজ আদালতে মোটরযান অধ্যাদেশ অনুযায়ী বাসমালিক, চালক ও ইনস্যুরেন্স কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে পৃথক মামলা করে। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা দুটি হাইকোর্টে আসে। এর মধ্যে তারেক মাসুদের পরিবারের করা মামলায় হাইকোর্টে দেয়া রায়ে তার (তারেক মাসুদ) পরিবারকে ৪ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫২ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়। আর মিশুক মুনীরের পরিবারের পক্ষ থেকে করা ক্ষতিপূরণ মামলাটি হাইকোর্টে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
পরবর্তী পোস্ট
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.