স্টাফ রিপোর্টার: দিন যত যাচ্ছে ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহক এডিস মশার প্রাদুর্ভাব ততই বাড়ছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪৩৬ রোগী। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছে ডিএনসিসি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বছর ডেঙ্গুতে যত জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং শক সিনড্রোমে মারা গেছেন। এটি রোধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে বাস্তবায়ন না করতে পারলে পুরো মরসুমে ডেঙ্গু পরিস্থিতি সামাল দেয়া চ্যালেঞ্জ হতে পারে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন ৪৩৬ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১৭৪ ও ঢাকার বাইরের ২৬২ জন। এ নিয়ে ভর্তি মোট রোগী বেড়ে দাঁড়াল এক হাজার ৫৩১ জনে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯ হাজার ১৯৩ জন। তাদের মধ্যে রাজধানীর সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬ হাজার ৬৫৫ জন। আর ঢাকার বাইরে অন্য বিভাগে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৫৩৮ জন। অন্যদিকে এ সময়ের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন সাত হাজার ৬০৬ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৫ হাজার ৫৮৯ জন এবং বাইরের ২ হাজার ১৭ জন। একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশে মারা গেছেন ৫৬ জন। ২০২২ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২৮১ জন। বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।