স্টাফ রিপোর্টার: প্রথম ধাপে ২০ থেকে ২৫ পৌরসভায় ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষে এসব পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আজ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে তফসিল ঘোষণা হতে পারে। ইসির একাধিক কর্মকর্তা জানান, এ নির্বাচনের তফসিল দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে কমিশন সচিবালয়। এ-সংক্রান্ত ফাইল নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হয়েছে। কমিশন অনুমোদন দিলেই তফসিল ঘোষণা হতে পারে। তবে বৃহস্পতিবার ইসির অনুমোদন না পেলে আগামী রোববার এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছে ইসি সচিবালয়। এক্ষেত্রে প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ডিসেম্বরের শেষ দিকে।
সূত্র জানায়, ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর অথবা ২৭, ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বরের যে কোনো দিন এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, পৌরসভার নির্বাচনের সব কিছু কমিশনে উপস্থাপন করা হয়েছে। কমিশন অনুমোদন দিলে কাল তফসিল হতে পারে। তা না হলে রোববার এ নির্বাচনের তফসিল হবে। প্রথম ধাপে ২০-২৫টি পৌরসভায় নির্বাচন হতে পারে।
ইসি জানিয়েছে, এবার ধাপে ধাপে অনুষ্ঠিত হবে পৌরসভা নির্বাচন। আগামী ডিসেম্বরে প্রথম ধাপে ২০-২৫ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হবে। কয় ধাপে ভোট হবে তা চূড়ান্ত না হলেও মে মাসের মধ্যে সব পৌরসভায় ভোট শেষ করতে চায় কমিশন। তবে অধিকাংশ পৌরসভা নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাংবিধানিক এই সংস্থাটি। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা সাংবাদিকদের এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, আগামী জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে পৌরসভাসহ যেসব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ শেষ হবে, সেসব প্রতিষ্ঠানে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ ভোট নেয়া হবে। এই ধাপে ২০-২৫টি পৌরসভায় ভোট হতে পারে। সিইসি বলেন, পৌরসভায় ভোট নেয়া হবে ইভিএমে। তবে ইউনিয়ন বা উপজেলা পরিষদের সব নির্বাচন ইভিএমে করা সম্ভব হবে না। কিছু সংখ্যক নির্বাচন হয়তো ইভিএমে হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগের তথ্যানুসারে দেশের মোট ৩২৯টি পৌরসভার মধ্যে আগামী মার্চের মধ্যে মেয়াদ শেষ হবে ২৬১টির। এর মধ্যে ২৬টি পৌরসভায় মামলা ও সীমানা পরিবর্তন সংক্রান্ত জটিলতায় নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। যথাসময়ে বা মার্চের আগে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে ২৩৫টি পৌরসভার। এছাড়া আগামী এপ্রিল বা এর পরে মেয়াদ শেষ হবে ৬৮টি পৌরসভার। এর মধ্যে আইনগত জটিলতার কারণে ১২টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধা রয়েছে। ফলে ওই ৬৮টি পৌরসভার মধ্যে ৫৬ পৌরসভা বর্তমানে নির্বাচন উপযোগী। পৌরসভা আইন অনুযায়ী পৌরসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ইতোমধ্যে পাঁচ পৌরসভার তফসিল দিয়েছে ইসি। এদিকে দেশব্যাপী পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভোটকেন্দ্র পস্তুত করেছে নির্বাচন কমিশন। গত ১৫ নভেম্বর প্রায় ১৯৬ পৌরসভার সব ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একই সাথে তফসিল ঘোষণার পরে দুদনের মধ্যে ভোটকেন্দ্রের তালিকা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ