কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: ডিজেলের দাম বাড়ার উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে কুষ্টিয়ার চালের বাজারে। কুষ্টিয়ার বাজারে সব ধরনের চালের দাম কেজিপ্রতি দুই টাকা বেড়েছে। চালের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ধানের দামও বেড়েছে।
সরেজমিন কুষ্টিয়া শহরের পৌরবাজার এবং বড় বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণার পর নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে কুষ্টিয়ার বাজারে সব ধরনের চাল কেজিপ্রতি দুই টাকা বেড়ে গেছে। বর্তমানে বাজারে অটো রাইচ মিলে ভাঙানো মিনিকেট চাল ৬০ টাকা, সাধারণ মিনিকেট চাল ৫৮ টাকা, কাজললতা ৫২ থেকে ৫৪ টাকা, আঠাশ ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, বাসমতি ৬৮ টাকা, কাটারীভোগ ৬০ টাকা, স্বর্ণা ৪৫ টাকা এবং নাজিরশাইল চাল ৭৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরে কেজিপ্রতি চালের দাম সর্বনিম্ন এক টাকা বেড়েছে। কুষ্টিয়া পৌরবাজারের চাল ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান জানান, নভেম্বর মাসের ২০ তারিখের পর থেকে কুষ্টিয়ার বাজারে সব ধরনের চালের দাম বেড়ে গেছে।
এদিকে চালের পাশাপাশি বেড়েছে ধানের দাম। বর্তমানে বাজারে গুটি স্বর্ণা ধান ৯৭০ টাকা এবং স্বর্ণা-৫ ধান ১০৩০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। অথচ সপ্তাহ দুয়েক আগেও এসব ধান ৯০০ এবং ৯৭০-৯৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। মিনিকেট (সরু) ধান ১৪৮০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। আগে বিক্রি হয়েছে ১৪২০ টাকা থেকে ১৪৩০ টাকা মণ।
চালের দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতি কুষ্টিয়ার সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন প্রধান বলেন, মূলত দুটি কারণে বাজারে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। তার মতে, ধান-চাল সব কিছুর সঙ্গে ডিজেলের একটি যোগসূত্র রয়েছে। তিনি বলেন, কুষ্টিয়ার খাজানগর মোকাম থেকে ঢাকা যেতে আগে একটি ১৫ টন চালবোঝাই ট্রাকের ভাড়া লাগতো ১৫ হাজার টাকা। ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে এখন ভাড়া গুনতে হচ্ছে প্রায় ১৮ হাজার টাকা। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধান সংগ্রহ করে মোকামে নিয়ে আসার ক্ষেত্রেও ট্রাকভাড়া বেশি গুনতে হচ্ছে। তাই ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব চালের বাজারেও পড়েছে।
গত ৩০ অক্টোবর থেকে সরকারিভাবে চাল আমদানি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণেও চালের বাজারে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন চালকল মালিক সমিতির এই নেতা।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ