স্টাফ রিপোর্টার: নোভেল করোনা ভাইরাস জনিত রোগ তথা কোভিড-১৯ পরীক্ষার নামে রোগীদের সাথে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে রুজুকৃত মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের নিকট দেয়া হয়েছে। জেকেজি হেল্থকেয়ারের চেয়ারম্যান বলে পরিচয়দাতা ডা. সাবরিানার তিন দিনের রিমাণ্ড রয়েছেন।
রাজধানীর তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন বলেন, তেজগাঁও থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু হয়। এ মামলাটি মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সকালে অধিকতর তদন্তের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে। সরকারি চাকরিতে থেকেই ডা. সাবরিনা চৌধুরীর স্বামী আরিফ চৌধুরীর সহায়তায় প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে ১৫ হাজার ৪৬০টি ভুয়া মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রস্তত ও সরবরাহ করে ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এ অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় সাবরিনার স্বামী আরিফকে আগেই গ্রেফতার করা হয়। তার জবানবন্দির ভিত্তিতে রোববার দুপুরে ডিএমপির তেজগাঁও উপ-কমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জিকেজি প্রতারণাকাণ্ডে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জানা যায়, জেকেজির কর্ণধার স্বামী-স্ত্রী মিলে করোনা টেস্টের ভুয়া সনদ বিক্রি করেছেন। প্রতিটি টেস্টের জন্য জনপ্রতি নিয়েছেন সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার টাকা। আর বিদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে জনপ্রতি তারা নিতেন ১০০ ডলার।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ