কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ডাকাতির সময় শাজাহান আলী নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে তাদের ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদ- দেয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার ৮ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত আসামিরা হলেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামের ইব্রাহিম ম-লের ছেলে স্বপন, একই উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের পান্না মৃধার ছেলে নাহারুল, মৃত শমসের প্রামাণিকের ছেলে মকবুল, ওফিল প্রামাণিকের ছেলে শফি, মৃত জলিল প্রামাণিকের ছেলে শাজাহান এবং খলিল প্রামাণিকের ছেলে আজমল। রায় ঘোষণার সময় দ-প্রাপ্ত তিন আসামি আজমল, শাজাহান ও শফি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পরপরই তাদের পুলিশ পাহারায় কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া দ-প্রাপ্ত অপর তিন আসামি স্বপন, নাহারুল ও মকবুল পলাতক।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালের ২৭ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে ফিলিপনগর গ্রামের শাজাহান আলীর বাড়িতে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আসামিরা ডাকাতি করতে যান। এসময় তারা নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার এবং বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র লুট করেন। এসময় প্রতিবাদ করায় চাইনিজ কুড়ালের উল্টো পিট দিয়ে শাজাহান আলীকে আঘাত করে হত্যা করেন আসামিরা। এ ঘটনায় পরের দিন ২৮ এপ্রিল নিহত শাজাহান আলীর ছেলে বোরহান উদ্দিন বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফেরদৌস হোসেন আসামিদের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালের ২৪ জানুয়ারি আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত তারিখে বিচারক মামলার আসামিদের শাস্তির এ আদেশ দেন। কুষ্টিয়া আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।