স্টাফ রিপোর্টার: ‘টিকটক ও লাইকি’র ফাঁদে পড়ে নতুন প্রজন্মের অনেকেই বিপথে পা বাড়াচ্ছে। এ দুই অ্যাপকে কেন্দ্র করে পাড়া-মহল্লায় এখন নতুন নতুন কিশোর গ্যাং গড়ে উঠছে। তারা সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রে যোগ দিয়ে নানা অপকর্মে জড়াচ্ছে। টিকটক মডেল বানানোর ফাঁদে ফেলে সংঘবদ্ধভাবে গণধর্ষণের ঘটনাও ঘটছে। অপরাধে জড়িয়ে মাদক সেবন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুনোখুনির ঘটনাও ঘটছে। স্বল্প সময়ে কথিত টিকটক স্টার হওয়ার নেশায় কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীরা এ পথে পা বাড়াচ্ছে।
টিকটক ও লাইকি হচ্ছে ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ। এটি কম বয়সি বিশেষ করে কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেই ভিডিওতে তারা নাচ-গানসহ বিভিন্ন কর্মকা-ের দৃশ্য এমনভাবে উপস্থাপন করে, যাতে উঠতি বয়সিরা সহজেই আকৃষ্ট হয়। বিনোদন জগতের কোনো কোনো সেলিব্রেটিও এ দুটি অ্যাপে বিভিন্ন ভিডিও শেয়ার করেন। টিকটক অ্যাপ ব্যবহারকারীদের অধিকাংশের বয়স ১৬ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কথিত স্টার হওয়ার নেশায় উঠতি বয়সিরা টিকটক-লাইকির মতো অ্যাপে উচ্ছৃঙ্খল ভিডিও আপলোড করছে। অনেকে এভাবে কথিত স্টারও বনে যাচ্ছে। তাদের এক শ্রেণির ফলোয়ার তৈরি হচ্ছে। এ ফলোয়ারদের নিয়েই বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক গ্যাং গড়ে উঠছে। টিকটক-লাইকিতে আসক্তদের খুব সহজেই আলাদা করা যায়। তারা উদ্ভট পোশাক পরছে, চুলে বিভিন্ন ধরনের কালার করছে। রাস্তা, ফাঁকা মাঠসহ বিভিন্ন স্থানে তারা স্মার্টফোন নিয়ে উদ্ভট ধরনের নাচ-গানের তালে তালে ভিডিও করছে। ঢাকার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় টিকটক কিশোর গ্যাংয়ের আধিপত্য বাড়ছে। বিশেষ করে ঢাকার হাতিরঝিলের বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত টিকটকারদের আড্ডা দিতে দেখা যায়। কিশোর গ্যাং এবং টিকটকারদের নিয়ন্ত্রণ করতে চলতি বছরের শুরুতে হাতিরঝিল এলাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক অভিযানও পরিচালনা করা হয়। তখন শতাধিক কিশোর-কিশোরীকে আটকও করা হয়। পরে অধিকাংশদেরই অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ