স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার কুশনা ইউনিয়নের হরিন্দীয়া গ্রামে সিরাজুল ইসলাম মাষ্টার কর্তৃক ধর্ষণ চেষ্টা ও শ্লিতাহানীর অভিযোগ উঠেছে। সিরাজুল মাষ্টারের নিজ বাসার কাজের মেয়ে মোছাঃ তানজিলা খাতুন (১৪) তানজিলা বলেন আমি আজ থেকে তিন বছরধরে সিরাজুল ইসলাম মাষ্টারের বাসায় কাজ করি। বিগত ছয়মাস ধরে সিরাজুল মাষ্টার আমার উপর কুদৃষ্টি দিতে থাকে। বাসায় কেও না থাকলে আমাকে বাজে প্রস্তাব দেই। আমি রাজি না হওয়াই যখনই বাসা ফাঁকা পায় তখনি পিছন দিক থেকে আমাকে প্রায়ই জাপটে ধরে। আমি ডাক চিৎকার করতে গেলে আমার মুখ চেপে ধরেন ও বলেন আমি যদি বিষটি কাওকে জানাই আমাকে এবং আমার পরিবারকে মেওে গুম করে দেবে। আমি ভয়ে বিষয়টি কাওকে জানাতে পারি নাই। গত মে মাসে ঈদের আগে সিরাজুল মাষ্টারের স্ত্রী বাসায় না থাকার সুবাদে আবারো আমার গায়ে হাত দেয়। বিষয়টি সিরাজুলের স্ত্রী মিসেস মনজুরা বেগম আন্টিকে জানালে তিনি আমাকে বিষয়টি কাওকে না জানাতে বলেন। তিনি আরো বলেন সে তোমার পিতার মতো যা হয়েছে আমি দেখছি এই কথা বলে আমাকে সান্ত¡না দেন। আমি ওখান থেকে বাড়িতে এসে আমার মা বাবাকে জানালে তারাও আমাকে বিষয়টি কাওকে না জানাতে বলেন এবং গোপনে আমার পিতা মোঃ তাহাজ্জেল হোসেন সিরাজুল মাষ্টারের কাছে জানাতে চাইলে তিনিও উল্টো মারমুখি আচরণ করেন। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। মেয়েটির পিতা ঘটনা জানার পরে কোটচাঁদপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানান। সিরাজুল মাষ্টার এলাকায় প্রাভাবশালী হাওয়ায় ন্যায় বিচার পাচ্ছে না বলেও জানান মেয়েটির পিতা। এ বিষয়ে সিরাজুল মাষ্টার জানান মেয়েটি আমার বাসায় দির্ঘদিন যাবৎ কাজ করে, সে আমার বাড়ির একজন সদস্য। এসব অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন। এলাকার কিছু লোকজন আমার সম্মান হানি করার জন্য মেয়েদের পরিবারকে ইন্ধন দিচ্ছে। মেয়েটি আমাকে নিয়ে সম্পুর্ন বানোয়াট গল্প বলছে। থানায় অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা জানান একটা লিখিতো অভিযোগ দিয়েছে তদন্ত চলছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ