ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে বাঁক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে দাদা। এ ঘটনায় ধর্ষক দাদাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। থানায় মামলার পর আদালতে ধর্ষক দাদা স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে। ঝিনাইদহ শহরের উপশহরপাড়ায় বাঁক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানায় মেয়েটির পিতা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,ঝিনাইদহ উপশহরস্থ একটি বাড়ির ভাড়াটিয়া বাদীর মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ভাড়াটিয়া ও বাদী একই বাসার ভাড়াটিয়া ও সম্পর্কে চাচা ভাতিজা। ধর্ষক মনির হোসেন দক্ষিণ টেপা খোলা গ্রামের মৃত আব্দুল গনি বেপারীর ছেলে। বাদীর মেয়ে গত ১৩ মে দুপুর অনুমান ১ ঘটিকার সময় বমি বমি ভাব করে। তখন বাদীর স্ত্রী নার্গিসের সন্দেহ হলে ওষুধের দোকানে গিয়ে গর্ভবতী কি না পরীক্ষা করার ‘কুইক চেক’ আনে। প্র¯্রাব পরীক্ষার পরে দেখা যায় বাদীর মেয়ে গর্ভবতী। তখন বাদী ও বাদীর স্ত্রী তার বাক প্রতিবন্ধী মেয়েকে ইশারার মাধ্যমে জানতে চাইলে ইশারার মাধ্যমে তাদের জানায় যে, উক্ত আসামি দাদা মনির হোসেন গত দুই মাস পূর্বে দুপুর ১ ঘটিকার সময় তাকে মোবাইল ফোনে লুডু খেলার কথা বলে ডেকে তার ভাড়া বাসার মধ্যে নিয়ে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন প্রকার নগ্ন ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে পরনের সেলোয়ার খুলে আমার মেয়ের সাথে দৈহিক মেলামেশা করে। এ ঘটনায় ধর্ষক মনির মিয়াকে গ্রেফতার করে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামি বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানা যায়। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি বলেন, ঘটনার সত্যতা থাকায় আসামির বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করে আসামিকে গ্রেফতার করে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান।