জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী

স্টাফ রিপোর্টার: আজ ১৯ জানুয়ারি স্বাধীনতার ঘোষক ও মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের অধিনায়ক সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী। জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালে বগুড়ার গাবতলীর বাগবাড়ীর এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৫৩ সালে তিনি যোগ দেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের জনগণের ওপর আক্রমণ করার পর তিনি পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ২৬ মার্চ তিনি চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন অসীম বীরত্বে। সেদিন থেকেই দেশবাসী তার অসাধারণ নেতৃত্বের পরিচয় পায়। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে যখন মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করে গণতন্ত্রকে মাটিচাপা দেয়া হয়েছিলো, দেশ শুরু হয়েছিল নৈরাজ্য এরকম এক মহাসংকটকালে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সৈনিক জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে শহিদ জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতার হাল ধরেন। একজন সৈনিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও তার জীবনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দেশের সকল সংকটে তিনি ত্রাণকর্তা হিসেবে বারবার অবতীর্ণ হয়েছেন। ক্ষমতায় এসেই তিনি বিচার বিভাগ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। তিনি শুরু করেছিলেন উৎপাদনের রাজনীতি, দেশকে স্বনির্ভর করে গড়ে তুলতে কৃষি বিপ্লব, গণশিক্ষা বিপ্লব ও শিল্প উৎপাদনে বিপ্লব, সেচ ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে স্বেচ্ছাশ্রম ও সরকারি সহায়তার সমন্বয় ঘটিয়ে ১৪০০ খাল খনন ও পুনর্খনন করেন। গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রবর্তন করে অতি অল্প সময়ে ৪০ লাখ মানুষকে অক্ষর দান করেন। এছাড়া গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠন করে গ্রামাঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার ব্যবস্থা করেন। জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। তার প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি তিন বার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল। বর্তমানে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জিয়াউর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমান। শেখ হাসিনা সরকারের কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটার পর, এখন তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির ৩১ দফা রাজনীতির মাঠে আলোচিত। জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More