স্টাফ রিপোর্টার: জন্মাষ্টমী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। সারাবিশ্বে হিন্দু সম্প্রদায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে। বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদ্যাপিত হয়। জন্মাষ্টমীতে দেশে সরকারি ছুটি থাকে। এবার বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) জন্মাষ্টমী উদ্যাপিত হবে। তবে এ বছর পঞ্চাঙ্গের পার্থক্যের কারণে কিছু জায়গায় জন্মাষ্টমী ১৮ আগস্ট এবং কিছু জায়গায় ১৯ আগস্ট জন্মাষ্টমী উৎসবের তিথি নির্ধারিত হয়েছে। এজন্য দেশে কবে জন্মাষ্টমী উদ্যাপিত হবে এবং সরকারি ছুটি আসলে কবে থাকবে তা নিয়ে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে গুঞ্জন চলছিলো। রাতে সে গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিক সাংবাদিকদের বলেন, পূর্বনির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী জন্মাষ্টমীর সরকারি ছুটি ১৮ আগস্ট বৃহস্পতিবারই। এবারও জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠান যথারীতি ধর্মীয় রীতি অনুসরণ করে পূজা-অর্চনার মাধ্যমে পালিত হবে। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সরকারি ছুটিসহ বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হবে বিশেষ অনুষ্ঠান। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে হিন্দু সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানাবেন। জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়ের ছুটির তালিকা অনুযায়ী, চলতি বছরে সাধারণ ও নির্বাহী আদেশ মিলিয়ে ২২ দিন ছুটি রয়েছে। এর মধ্যে ৬ দিন পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার। চলতি বছরে এখনো যেসব সরকারি ছুটি রয়েছে- সাধারণ ছুটি: ১৮ আগস্ট জন্মাষ্টমী, ৫ অক্টোবর দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী), ৯ অক্টোবর ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৫ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন (বড়দিন)। ঐচ্ছিক ছুটি: ২১ সেপ্টেম্বর আখেরি চাহার সোম্বা এবং ৭ নভেম্বর ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম। হিন্দুপর্বের ঐচ্ছিক ছুটির দিনগুলোর মধ্যে রয়েছে- ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়া, ৪ অক্টোবর দুর্গাপূজা (নবমী), ৯ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজা এবং ২৪ অক্টোবর শ্যামাপূজা। এছাড়া ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন) হচ্ছে খ্রিস্টান পর্বের ঐচ্ছিক ছুটি। ঐচ্ছিক ছুটির (বৌদ্ধ পর্ব) মধ্যে রয়েছে ৯ সেপ্টেম্বর মধু পূর্ণিমা (ভাদ্র পূর্ণিমা) এবং ৯ অক্টোবর পূর্ণিমা (আশ্বিনী পূর্ণিমা)।