স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের পাশে থেকেছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার বিশ্বাস, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকেই মানুষ বেছে নেবে। ইনশাআল্লাহ, জনগণ আমাদের তাদের সেবা করার সুযোগ দেবে। নেতাকর্মীদের আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করতে হবে, কারণ নির্বাচনে আমরা বিজয়ী হবো।’ রোববার যুক্তরাজ্যের লন্ডন ম্যারিয়ট হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াতকে ‘দুর্নীতিবাজ-খুনি এবং লুটেরা-চোর’ আখ্যা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তারা যেন ফের ক্ষমতায় আসতে না পারে, সে বিষয়ে দেশের মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি-জামায়াত) বাংলাদেশকে ধ্বংস করবে। তাই সতর্ক থাকুন, যাতে বিএনপি-জামায়াত চক্র আবার ক্ষমতায় না আসে।’ আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট ‘কারচুপি’ করে ক্ষমতায় আসেনি দাবি করে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ‘ভোট চোর’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘তারেক জিয়া ভোট চোর ছিলেন, তার মা ভোট চোর, আমাদের ভোট চোর বলার সাহস হয় কী করে?’ আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘তার দল সবসময় দেশ ও দেশের মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করেছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতা দখল বা চুরি করে ক্ষমতায় আসেনি।’ শেখ হাসিনা বিএনপি নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কয়টি দল অংশ নিয়েছিল এবং কতটি ভোট পড়েছিল? ২০০৮ সালের নির্বাচনের প্রসঙ্গ ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওই নির্বাচন নিয়ে নিয়ে কারো কিছু বলার নেই। সেই নির্বাচনের ফলাফল কী? বিএনপির ২০ দলীয় জোট কতটি আসন পেয়েছিল? ২০ দলীয় জোট নির্বাচনে ২৯টি আসন এবং পরে উপনির্বাচনে একটিসহ মোট ৩০টি আসন জিতেছিল। আর বাকি আসন ছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের। আমরা বাকি সব আসন পেয়েছিলাম। জনগণের কাছে তাদের অবস্থান কোথায় যে তারা এত লাফালাফি করে?’ জনগণ বিএনপি-জামায়াতের ওপর আস্থা রাখবে না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে এবং এভাবে দেশকে ধ্বংস করেছে। জনগণ কীভাবে তাদের প্রতি আস্থা রাখবে? জনগণ জেনে গেছে যে তারা চোর, দুর্নীতিবাজ, খুনি, গ্রেনেড হামলাকারী ও লুটেরা এবং তারা খুনিদের পৃষ্ঠপোষক। তারেক রহমানকে তার দুর্নীতির দায়ে সাজা দেয়া হয়েছে এবং খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকোর পাচারকৃত প্রায় ৪০ কোটি টাকা সরকার দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রী গত ১৪ বছরে তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচির কথা তুলে ধরে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি দেশকে এগিয়ে নিতে সরকারের ‘ডেল্টা ২১০০’ পরিকল্পনার কথা বলেন।