স্টাফ রিপোর্টার: নতুন বছর শুরু হলেও হয়নি বই উৎসব। সকল শিক্ষার্থীর হাতে পৌঁছায়নি নতুন বছরের পাঠ্য বই। ১৫ বছর পর এবার হলো না বই উৎসব। আনন্দের ছটা মøান হলেও অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে সকল পাঠ্য বই। এজন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। এ বছরের পাঠ্য বই যুদ্ধ করে ছাপানো হয়েছে উল্লেখ করেন। সেইসঙ্গে কবে নাগাদ শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্য বই পৌঁছাবে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি তিনি। পাঠ্য বইয়ে স্থান পেয়েছে ’২৪ এর গণঅভ্যুত্থান।
নতুন বছরের প্রথম দিনে নতুন বই পেয়ে যেমন উচ্ছ্বসিত হয়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা, তেমনি বই না পেয়ে মন খারাপ করে বাসায় ফিরে গেছে-এমন চিত্রও দেখা গেছে। এবার বই উৎসব না হলেও গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরসহ সারা দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বই বিতরণ করা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীকে বই না নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। যারা পেয়েছে তারা মাত্র একটি করে। আবার কোনো কোনো শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই-ই পায়নি।
নতুন বছরে প্রায় ৪১ কোটি ছাপা পাঠ্য বইয়ের প্রয়োজন। কিন্তু বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছেছে ৬ কোটি পাঠ্য বই। দেশের ১০৭ উপজেলায় যায়নি তিন শ্রেণির কোনো পাঠ্য বই। বাকি প্রায় ৩৪ কোটি পাঠ্য বই শিক্ষার্থীদের হাতে যেতে পার হয়ে যেতে পারে ফেব্রুয়ারি মাস। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে পাঠ্য বইয়ের পিডিএফ কপি।
বুধবার ‘পাঠ্য বইয়ের অনলাইন ভার্সন উদ্বোধন ও মোড়ক উন্মোচন’ অনুষ্ঠানে দুঃখ প্রকাশ করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, সব বই ছাপা শেষ করা যায়নি। তার সঙ্গত কারণও আছে। তবে এটি এখন আমার মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আশা করি, যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তাতে দ্রুত বাকি বই ছাপা হয়ে যাবে। তিনি বলেন, নতুন বছরের প্রথম দিনে সারা দেশের সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দিতে না পেরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে আমরা আন্তরিক দুঃখিত। কবে পাঠ্য বই পাবে শিক্ষার্থীরা আমি কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনো কমিটমেন্ট দেবো না। পাঠ্য বই কবে ছাপা শেষ হবে, তা নিয়ে আমি কিছু বলবো না।
পাঠ্য বই ছাপানোর সমস্যার বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আমরা বিদেশে বই ছাপাবো না। শিক্ষাক্রম পরিবর্তন হওয়ায় বইয়ের সংখ্যা বেড়েছে। যখন কাজ শুরু করা হয়েছিল, সেটা অনেক দেরিতে হয়েছে। অনেকগুলো বই পরিমার্জন করতে হয়েছে। রাজনীতিতে নিরপেক্ষ বলে কিছু থাকে না, দলীয় রাজনীতি নিরপেক্ষ সব কিছু যেন বইয়ে থাকে, সেটা নিশ্চিত করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এনটিসিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, মাত্র আড়াই মাসে ৪৪১টি বই পরিমার্জন করেছি। ছয় কোটি বই গেছে। চার কোটি ট্রাকে ওঠার অপেক্ষায়। আগামী ৫ জানুয়ারি প্রাথমিক ও দশম শ্রেণির সব বই, ১০ জানুয়ারি মাধ্যমিকের আটটি বই এবং ২০ জানুয়ারির মধ্যে সব বই পাঠানোর চেষ্টা করবো।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীম। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার শিক্ষাবিষয়ক বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের তথ্যমতে, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ৬ কোটি ৪৩ লাখ ৪৭ হাজার ৭৬২ জন শিক্ষার্থীর জন্য ৪০ কোটি ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ২০২ কপি বই ছাপার কাজ চলমান। ছাপা শেষ হয়েছে ৬ কোটি ৬ লাখ। এসব বই বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। তবে ছাপা শেষ হলেও বুধবারের মধ্যে পাঠ্য বই পৌঁছে যাবে তার নিশ্চয়তা দিতে পারেনি এনসিটিবি।
এবারের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের নতুন পাঠ্য বইয়ে ইতিহাস বিষয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীনতার ঘোষণাসহ বেশ কিছু বিষয়ে সংযোজন-বিয়োজন করা হয়েছে। ইতিহাসের পাতায় স্থান পেয়েছে সকল পক্ষের অবদান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমানের অবদানসহ অন্যান্য নেতাদের যথাযথ মর্যাদা দেয়া হয়েছে। বাদ দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ আমলের অতিরঞ্জিত ইতিহাস। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বইয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদসহ বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের শহীদদের স্মরণ করে গল্প যুক্ত করা হয়েছে। আবার বেশ কিছু গদ্য, প্রবন্ধ, উপন্যাস ও কবিতা বাদ পড়েছে।
এতদিন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও পতাকা নির্মাণের নিয়মাবলী এবং জাতীয় সংগীত বাংলা বইয়ের প্রচ্ছদের ঠিক পরের পৃষ্ঠায় ছিল। কিন্তু নতুন বাংলা বইয়ে তা পুনর্বিন্যাস করে বইয়ের শেষ প্রচ্ছদের আগের পৃষ্ঠায় নেয়া হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণির আমার বাংলা বইয়ে ছয়টি প্রবন্ধ, কবিতা বা ছড়া নতুন করে যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ‘আমরা তোমাদের ভুলবো না’ শীর্ষক প্রবন্ধে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাঈদ ও মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের ছবিসহ এ গণঅভ্যুত্থানে সব শহীদকে স্মরণ করে লেখা যুক্ত হয়েছে। তবে পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বইয়ের একটি গল্পে শহীদের নাম ভুল লেখা হয়েছে। ‘নাহিয়ান’ নামে একজনের কথা উল্লেখ থাকলেও এ নামে কোনো শহীদের তথ্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি সমালোচনার মুখে পাঠ্য বইয়ের অনলাইন ভার্সনে পরিবর্তন আনে এনসিটিবি। নাহিয়ানের স্থলে লেখা হয় ‘নাফিসা’ নাম।
চুয়াডাঙ্গায় ২০২৫ সালের নতুন শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক, মাদরাসা ও প্রাথমিকের শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কেদারগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে নামমাত্র কিছু বই বিতরণ করা হয়। জেলা শিক্ষা অফিসার (অ.দা.) দিল আরা চৌধুরীর সভাপতিত্বে বই বিতরণ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে এ সময় জেলা প্রশাসক চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের মাধ্যমিক পর্যায়ের ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিসার দিলারা চৌধুরীর সভাপতিতে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা আইসিটি ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন কুমার রাজবংশী, চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মীর মোহাম্মদ জান্নাত আলি, ভিক্টোরিয়া জুবিলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেসমিন আরা খাতুন, সহকারী প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান, ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাতিন, আল হেলাল ইসলামী একাডেমির প্রধান শিক্ষক জিন্নাত আলী, মালিক আব্দুল বারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ও সহকারী শিক্ষকগণ। বই বিতরণ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ভিক্টোরিয়া জুবিলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মামুন অর রশিদ।
অপরদিকে, শহরের কেদারগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার লায়লা তাসলিমা নাসরিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অহীন্দ্র কুমার মন্ডল প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। কেদারগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তুহিন সুলতানার সঞ্চালনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শোয়াইব হোসেন স্বাগত বক্তব্য রাখেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে সহকারী জেলা শিক্ষাা অফিসার হেমায়েত আলি শাহ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ইন্সট্রাক্টর সুভাষ চন্দ্র ঘোষ, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. মহিউদ্দিন, বিএম রফিকুল ইসলাম, মাসুমা আক্তার, আবিদ আজাদ, সহকারী ইন্সট্রাক্টর নুরুজ্জামান এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই তুলে দেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অহীন্দ্র কুমার ম-ল।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অহীন্দ্র কুমার ম-ল জানান, জেলায় ৫ লাখ ৪২ হাজার ২৩৮ পিস বাইয়ের বিপরীতে কোন বরাদ্দের বই পাওয়া যায়নি। তবে, পাশর্^বর্তী ঝিনাইদহ জেলা থেকে ২৫০ সেট বই সংগ্রহের পর চার উপজেলায় বিতরণ করা হয়েছে। চাহিদার বই শিগহিরই এসে পেঁৈছাবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিসার (অ.দা.) দিল আরা চৌধুরী বলেন, প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত এবতেদায়ী এবং ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত মাধ্যমিক, দাখিল, ভোকেশনাল (ট্রেড), এসএসসি ভোকেশনাল এবং দাখিল ভোকেশনাল শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ৫৩ হাজার ৩৩০ জন। মোট বইয়ের চাহিদা ১৭ লাখ ২৫ হাজার ৬০২ টি। এ পর্যন্ত বই পাওয়া গেছে ৭ম শ্রেণির মাধ্যমিকে ৫৬ হাজার ৭শ বই এবং ৭ম শ্রেণির দাখিলের ১৬ হাজার ২৬০টি বই।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলেন, সপ্তম শ্রেণীর তিনটি করে বই আমরা হাতে পেয়েছি। বাকি বই পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) দিলআরা চৌধুরী জানান, আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে বাকি বই ও অন্যান্য শ্রেণীর বইগুলো আমরা হাতে পাবো। বই পাওয়া মাত্রই সেগুলো শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হবে।
এদিকে, দামুড়হুদায় ফার্স্ট মাল্টিমিডিয়া মডেল স্কুলে নতুন বই বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। নতুন বছরের প্রথম দিনে বই পেয়ে খুশি শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার সকাল ১০ টায় স্কুল চত্বরে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ফার্স্ট মাল্টিমিডিয়া মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাসুম বিল্লাহ। প্রধান অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এসএম বজলুর রশীদ। ফার্স্ট মাল্টিমিডিয়া মডেল স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক জহির রায়হান সোহাগের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার রাফিজুল ইসলাম ও দামুড়হুদা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুতুব উদ্দীন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক মাসুম বিল্লাহ।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন বছরের বই বিতরণের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার সকালে মেহেরপুর বি এম মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিলনায়তনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করা হয়। জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ উপস্থিত থেকে বিএম মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বই বিতরণের উদ্বোধন করেন। এ সময় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন, সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী মূয়ীদুর রহমান, সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ফারুক উদ্দিন, ইউ আর সির ইন্সট্রাকটর আব্দুল মতিন, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জহিরুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, বিএম মডেল সরকারের প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বই বিতরণ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার ভীত শক্ত না হলে আগামী প্রজন্ম ঠিক মতো গড়ে উঠতে পারবে না। তাই প্রাথমিক শিক্ষার ভীত শক্ত করার জন্য শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে মেহেরপুর জেলায় ৭৯ হাজার ৭৫৬ শিক্ষার্থীর জন্য ৩ লক্ষ ৪৪ হাজার ৬৮৮ টি বিতরণ করা হবে।
গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুরের গাংনী পূর্বমালসাদহ দাখিল মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বই বিতরণ করেন মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল হক মানিক। পূর্বমালসাদহ দাখিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল আবু সাঈদ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বই উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন গাংনী প্রেসক্লাব সভাপতি তৌহিদ উদ দৌলা রেজা, সহ-সভাপতি মজনুর রহমান আকাশ, বিশিষ্ট হোমিও চিকিৎসক তৌহিদ হোসেন ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আব্দুল বারি। এসময় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে প্রতি বছরের মত এবার বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে হয়নি বই উৎসব। সীমিত কিছু নতুন বই দেয়া হলেও ছাত্রছাত্রীদের মুখে হাঁসি ফোটানো যায়নি। নতুন বই দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাওয়ার আশা নিয়ে শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা করতে বলেছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.