স্টাফ রিপোর্টার: দীর্ঘ দেড় মাস বন্ধ থাকার পর চুয়াডাঙ্গা আদালত প্রাঙ্গণে আবারও প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। গতকাল সোমবার থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালতের কার্যক্রম চালু হওয়ায় আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে এ চাঞ্চল্য ফিরে আসে। প্রথমদিনে জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে আইনজীবী, আইনজীবী সহকারী ও বিচার প্রার্থীদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে, গতকাল বেলা ১০টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ মোহা. রবিউল ইসলাম ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিজানুর রহমানের সাথে জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ ও সিনিয়র আইনজীবীরা দেখা করেছেন। এসময় আদালতের কার্যক্রম কিভাবে পরিচালনা হবে সে বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেয়া হয়। এসময় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোল্লা আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, সাবেক সভাপতি সেলিম উদ্দিন খান, নুরুল ইসলাম ও এমএম শাহজাহান মুকুল, সাবেক সেক্রেটারি সৈয়দ হেদায়েত হোসেন আসলাম, সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক, অ্যাড. বেলাল হোসেন (পিপি) ও স্পেশাল পিপি আবু তালেব বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
প্রথমদিনে গতকাল জেলা জজ কোর্ট ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতসহ সংশ্লিষ্ট আদালত সমূহে প্রায় ৭০টির মতো জামিন শুনানীর জন্য বারে আবেদন জমা পড়ে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি অ্যাড. আব্দুল খালেক বলেন, সার্ভারে কারিগরি ক্রটির কারণে কোনো আবেদন জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে জেলা জজ কোর্টসহ অন্যান্য আদালতে অনলাইনে পাঠানো সম্ভব হয়নি। ফলে, কোনো জামিন শুনানী হয়নি এবং কোনো জামিন হয়নি।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. মোল্লা আব্দুর রশিদ বলেন, যেসকল আসামি জেলখানায় বন্দী রয়েছেন এমন আসামির জন্য জামিন শুনানী, আপিলের মামলা জামিন শুনানী ও মিস কেস জামিন শুনানী অনুষ্ঠিত হবে। তবে, বিচারাধীন মামলার শুনানী হবে না। আইনজীবীরা জামিন শুনানীর জন্য ওকালতনমাসহ বারে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। ওখান থেকে অনলাইনে আবেদনপত্রগুলো আদালতে পাঠানো হবে এবং অনলাইনে আবেদনের জামিন শুনানী অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত : করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এই ছুটি পরবর্তীতে বৃদ্ধি পেয়ে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত ঘোষণা করে। ফলে বিচার প্রার্থীদের কথা বিবেচনা করে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ গত ৯ মে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।