স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা তালতলা পশুহাটপাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জেসমিন খাতুন নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল থেকে লাশ বাড়ি ফিরিয়ে নেয়ার পর নড়ে ওঠে বলে উপস্থিত কয়েকজন দাবি করেন। ফলে তাকে পুনরায় হাসপাতালে নেয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও পরে লাশ নিজ গ্রামে নিয়ে দাফনের প্রক্রিয়া করা হয়। গতকাল শুক্রবার দুপুরে ব্যাটারিচালিত রিকশার চার্জার খুলতে গিয়ে অসাবধানতাবশত তিনি বিদ্যুতায়িত হন। বিকেলে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত জেসমিন খাতুন (৩৭) চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার তালতলা পশুহাটপাড়ার লাল চাঁদের স্ত্রী।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার লাল চাঁদ নিজ বাড়িতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চার্জ দিয়ে রাখেন। দুপুরে তার স্ত্রী জেসমিন খাতুন বিদ্যুতের তার খুলতে গেলে অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহানা আহমেদ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বজনরা বিকেলে লাশ ফিরিয়ে নিয়ে যায় বাড়িতে। পরে স্থানীয়রা জানায়, জেসমিন খাতুন নড়াচড়া করছে, বেঁচে আছে। এরপর স্বজনরা পানি ও দুধ খাওয়ানোর পর সন্ধ্যায় আবার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পুনরায় মৃত ঘোষণা করলে লাশ নিজ গ্রামে নেয়া হয়। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডা. সোহানা আহমেদ বলেন, বিদ্যুতস্পৃষ্টে জেসমিন নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে নেয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। লাশ নড়ে ওঠার বিষয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেলে মৃতদেহের পেশী অনেক সময় সংকোচন হয়। গ্রামের লোকজন না বুঝেই লাশ নড়ে ওঠার কথা বলেছে। তারা কে কী বললো সেটা আমার দেখার বিষয় না। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ