চুয়াডাঙ্গার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলমের ইন্তেকাল
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলম মারা গেছেন (ইন্না… রাজেউন)। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগে তিনি মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে শহরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাদ আছর কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদ প্রাঙ্গণে নামাজে জানাজা শেষে তাকে শোলাকিয়া বাগে জান্নাত কবরস্থানে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৫৬ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন, শুভার্থী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
জানা গেছে, খায়রুল আলম কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্র ছিলেন। চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন হিসেবে দায়িত্বপালনের পর বছরখানেক আগে বদলির আদেশ নিয়ে ঢাকা মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। সেখানেই কর্মরত ছিলেন তিনি। সম্প্রতি হার্টঅ্যাটাকে আক্রান্ত হলে ডা. মো. খায়রুল আলমকে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
স্বাস্থ্যসেবায় বিপুল খ্যাতি অর্জন করা ডা. মো. খায়রুল আলম কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার নিজ বাসা কিশোরগঞ্জ শহরের উকিলপাড়ায়। সেখানেই সপরিবারে অবস্থান করতেন তিনি। শৈশবে পিতাকে হারান ডা. মো. খায়রুল আলম। তিনি তাড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের (সাবেক তাড়াইল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়) সাবেক শিক্ষার্থী এবং ওই স্কুলের সাবেক জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মরহুম সোহরাব উদ্দিন ভূঁইয়ার ছোট ভাই। ডা. খায়রুল আলম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি কিশোরগঞ্জ ২৫০ জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার (ইএমও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে একই জেলার করিমগঞ্জ, পাকুন্দিয়া এবং ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে চুয়াডাঙ্গা জেলার সিভিল সার্জন এবং মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ছিলেন ডা. খায়রুল আলম। সর্বশেষ তাকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপপরিচালক (প্রশাসন) পদে পদায়ন করা হয়। মৃত্যুকাল পর্যন্ত ওই পদেই কর্মরত ছিলেন তিনি।