মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার মোমিনপুর ইউনিয়নের সরিষাডাঙ্গায় মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির মুন্সিগঞ্জ এরিয়া অফিসের ২ লাইনম্যানকে আড়াই ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত ৮ টা থেকে রাত সাড়ে ১০ পর্যন্ত বিদ্যুতের দাবিতে তাদের অবরুদ্ধ ও বিক্ষোভ করে রাখে এলাকার বিদ্যুত গ্রাহকেরা। গত বুধবার রাতে ঘুর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে এলাকার ঘরবাড়ি ও ফসল লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এছাড়া বিদ্যুৎ এর খুটি ও বৈদ্যুতিক তারের উপর ভেঙে পড়ে গাছ পালা। ফলে বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুত সংযোগ। মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির মুন্সিগঞ্জ এরিয়া অফিসের লাইনম্যানেরা রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রমে পরদিন মুন্সিগঞ্জ এলাকায় বিদ্যুৎ লাইন চালু করতে সক্ষম হয়। মোমিনপুর ও নাগদহ এলাকার বিদ্যুত চালু রাখতে চেষ্টা অব্যাহত রাখে। গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মুন্সিগঞ্জ এরিয়া অফিসের লাইনম্যান খাইরুল ইসলাম ও ফজলুল হক সহ দুই ডে লেবার ফিরোজ ও রিপন সরিষাডাঙ্গায় গেলে স্থানীয়রা তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। এছাড়া উত্তেজিত বিদ্যুত গ্রাহকেরা বিক্ষোভ করতে থাকে। বিক্ষোভকারীরা জানান, গত বুধবার রাতে ঘুর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে বিদ্যুত বন্ধ হয়ে যায়। গত ২ দিন ধরে নীলমণিগঞ্জ বাজার, আমিরপুর, সরিষাডাঙ্গা, কাথুলীসহ নাগদহ ইউনিয়ন এলাকার বিদ্যুত আসেনি। ফলে কয়েকদিন ধরে অন্ধকারে থাকতে হচ্ছে গ্রাহকদের। মুন্সিগঞ্জ এরিয়া অফিসে যোগাযোগ করেও কোন ফল পাওয়া যায়নি বলে জানান তারা। বিক্ষোভকারীরা আরো জানাই, মোমিনপুর ও নাগদহ এলাকার একটাই লাইন। এই বৈদ্যুতিক লাইন আলাদা করালে দুর্ভোগ অনেকটা লাঘব হবে। এব্যাপারে অবরুদ্ধ লাইনম্যান ফজলুল হক ও খাইরুল ইসলাম জানান, লাইনে ফল্ট রয়েছে। বিদ্যুত চালু করলে টিপ করছে। ভোল্টেজ সমস্যা হচ্ছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মুক্ত করা হয়। শেষ খবর পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জ এরিয়া অফিসের লোকজন উক্ত লাইন চালু করতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।