চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তা দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনকালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক
স্টাফ রিপোর্টার: কৃষি বায়োস্কোপ একটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্ভাবনাময়ী উদ্যোগ। ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কৃষি বায়োস্কোপের প্রতিবেদন দেখে নিজ খরচে সারাদেশ থেকে তরুণ কৃষি উদ্যোক্তারা এখানে এসেছেন। দেশে প্রতিদিন কৃষি জমি কমে যাচ্ছে। কৃষি জমির সদ্ব্যবহার করে চাহিদামত ফসল উৎপাদন করতে হলে এ ধরনের উদ্যোগ প্রয়োজন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (ডিএই) মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ কৃষি বায়োস্কোপ আয়োজিত শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তা দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ইব্রাহিমপুর মেহেরুন্নেসা থিম পার্কে এই কর্মশালা শুরু হয়েছে। দেশের ৩০ জেলা থেকে আসা ৩৭জন শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তা এতে অংশগ্রহণ করছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মহাপরিচালক আরও বলেন, আগামীদিনে আমাদের যে পরিমাণ খাদ্য লাগবে, ভূমির সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা আমরা চিন্তা করি, এ ধরনের উদ্যোগ ছাড়া সম্ভব না। সরকারিভাবে গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি যদি এমন শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তাদের মেধাকে কাজে লাগাতে পারি; তাহলে আগামীদিনে আমাদের যে স্বপ্নের কৃষির কথা বলি, সেই কৃষিতে বাংলাদেশ যেতে পারবে। এই উদ্যোগ আমাদের কৃষিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। আমরা এটাকে উৎসাহিত করতে চাই। কারণ চলমান কৃষির যে প্রযুক্তি তা নরমাল কৃষকদের গ্রহণের সক্ষমতা নেই। উদ্যোক্তা তৈরি হলে প্রযুক্তি গ্রহণের সক্ষমতা যেমন থাকবে, তেমনি সম্ভাবনা যেটি আছে প্রযুক্তির, সেটা আমরা গ্রহণ করতে সক্ষম হব। তার ফলশ্রুতিতে আমাদের দেশের মানুষ যতই বেশি হোক না কেন, জমি যতই কমে যাক না কেন, আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা ও আয় বৃদ্ধিতে সক্ষম হবো।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হকের পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের পর জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে উদ্বোধনী পর্ব শুরু হয়। কৃষি বায়োস্কোপের প্রধান উপদেষ্টা কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞপুলের সদস্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক পার্থ প্রতীম সাহা। কৃষি বায়োস্কোপের পরিচালক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাসরুরের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চুয়াডাঙ্গার উপপরিচালক মো. আলি হাসান, যশোরের উপপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা সুফি মো. রফিকুজ্জামান ও যশোরের ম্যাক্সিম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো.শরীফ উদ্দীন।
গতকাল শুক্রবার প্রথম দিনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড.এমএ রহিম, বছর ব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মেহেদি মাসুদ, ড. হামিদুর রহমান ও তালহা জুবাইর মাসরুর রিসোর্স পার্সন হিসেবে প্রশিক্ষণ দেন। অংশগ্রহণকারীর সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন সফল উদ্যোক্তা খাইরুল ইসলাম ও মোকারম হোসেন।
অনুষ্ঠানস্থলে যশোর চুড়ামনকাঠির ম্যাক্সিম এগ্রো, চুয়াডাঙ্গার ম্যাপ এগ্রো ও এআর মালিক সীডস কৃষির আধুনিক প্রযুক্তি প্রদর্শন করে। বিশেষ করে ম্যাক্সিম এগ্রোর নতুন নতুন প্রযুক্তি অংশগ্রহণকারী ও অতিথিদেরকে আকৃষ্ট করে। শনিবার অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলার সফল উদ্যোক্তাদের খামার সরেজমিন পরিদর্শন ও হাতে-কলমে শিক্ষাগ্রহণের মধ্যদিয়ে কৃষি বায়োস্কোপের চতুর্থ আসর শেষ হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ