কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া শহরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী শিখা নাজমিনকে (২০) মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে কারারক্ষী শেখ আল ইমরানের (২৬) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন তার স্ত্রী।
ভুক্তভোগী শিখা সাতক্ষীরা সদরের ধুলিহর গ্রামের আবুল খায়েরের মেয়ে এবং অভিযুক্ত ইমরান একই উপজেলার ফিংড়ী গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে। ইমরান কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের কারারক্ষী হিসেবে কর্মরত। তারা শহরের চৌড়হাস রূপনগর আদর্শপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে শিখা নাজমিনের সঙ্গে শেখ আল ইমরানের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ইমরান কৌশলে আসবাবপত্র ও গহনা কেনার জন্য শ্বশুরের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নেন। চাকরির সময় ১১ লাখ টাকা লেগেছে এমন কথা বলে স্ত্রীর কাছে আরও ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন তিনি। এরপর শ্বশুর দুই লাখ টাকা দেন। তারপরও ইমরান শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন স্ত্রীকে। গত মঙ্গলবার বিকেলে তিনি হত্যার উদ্দেশ্যে স্ত্রীকে মারধর করেন।
ভুক্তভোগী শিখা নাজমিন বলেন, মারধরের ফলে আমার চোখ ও শরীরের বিভিন্ন জায়গা জখম হয়েছে। প্রাণে বাঁচতে প্রতিবেশীর বাসায় আশ্রয় নেই। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়।
শিখা নাজমিন অভিযোগ করেন, থানায় অভিযোগ দেয়ার ফলে ইমরান আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। আমি ইমরানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে কারারক্ষী শেখ আল ইমরানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। কুষ্টিয়া কারাগারের জেলার এনামুল কবির স বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। ইমরান অপরাধী হলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি সাব্বিরুল আলম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।