কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে ৪জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এক নারীসহ ২জন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর ও আড়িয়া ইউনিয়নে পৃথক স্থানে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানা পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। নিহতরা হলেন দৌলতপুর উপজেলার চর দৌলতপুর ইউনিয়নের চক দৌলতপুর এলাকার নাহারুল ইসলাম (৫২), আড়িয়া ইউনিয়নের শেনপাড়া এলাকার কৃষক ইরাজুল ইসলাম (৪৮), দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের নাটনাপাড়া এলাকার আবু জেহেলের ছেলে কামাল হোসেন (৩০), একই এলাকার নুরুর ছেলে মহিবুল ইসলাম (২৮)। বজ্রপাতে মিরপুর ও দৌলতপুর উপজেলায় আরো দুইজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা হলেন দৌলতপুর উপজেলার চক দৌলতপুর এলাকার বজ্রপাতে সদ্য নিহত নাহারুল ইসলামের স্ত্রী কমলা খাতুন (৪৫) ও মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের আতিয়ার ম-ল (৫৫)।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নিশিকান্ত সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুপুরে হালকা বৃষ্টি হওয়ার সময় কৃষক নাহারুল ইসলাম গবাদীপশুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন। তার স্ত্রী কমলা খাতুন আকাশে বিজলী চমকাতে দেখে নাহারুল ইসলামকে বাড়ি ফিরে আসার জন্য ডাকতে যান। হঠাৎ বজ্রপাতে স্বামী ও স্ত্রী দুজনই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা দেখে তাদের দুজনকে দ্রুত উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাহারুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, নাহারুলের স্ত্রী কমলা খাতুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে চিকিৎসকরা বলেও জানান ওসি। অপরদিকে, মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সুমাইয়া শাম্মি আক্তার জানান, বিকেলে বজ্রপাতে গুরুত্বর আহত অবস্থায় মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের আতিয়ার ম-ল নিয়ে আসে স্থানীয়রা। পরে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
তিনি আরো বলেন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে বজ্রপাতে দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের নাটনাপাড়া এলাকার আবু জেহেলের ছেলে কামাল হোসেন (৩০), একই এলাকার নুরুর ছেলে মহিবুল ইসলামকে (২৮) নিয়ে আসা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই তাদের দুজনের মৃত্যু হয়। অপরদিকে, আড়িয়া ইউনিয়নের শেনপাড়া এলাকার কৃষক ইরাজুল ইসলাম (৪৮) বিকেলে মাঠে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত অবস্থায় পড়ে ছিলো বলে নিশ্চিত করেছেন দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নিশিকান্ত সরকার।