স্টাফ রিপোর্টার: সরু চালের সর্ববৃহৎ মোকাম কুষ্টিয়ায় গত এক সপ্তাহে কেজিতে ৪ টাকা বেড়েছে চালের দাম। ৬২ টাকা কেজির মিনিকেট চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৬ টাকায়। অন্য সব নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে চালের বর্ধিত দাম নাভিশ্বাস তুলেছে ভোক্তাদের। ব্যবসায়ী ও চালকল মালিকরা বলছেন, প্রতিদিনই বাড়ছে ধানের দাম। সে কারণে বাড়াতে হচ্ছে চালের দাম। অন্যদিকে নিয়ন্ত্রণকারীরা বলছেন, অতিরিক্ত মুনাফা করে কেউ দাম বাড়াচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখছেন তারা।
কুষ্টিয়ার খাজানগরে মিলগেটে গত এক সপ্তাহে চালের দাম বেড়েছে বস্তা (৫০ কেজি) প্রতি দেড়শ থেকে দুইশ টাকা। এ হিসেবে কেজি প্রতি বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা।
কুষ্টিয়া পৌর বাজারের মা ট্রেডার্সের চাল বিক্রেতা রিপন বলেন, হঠাৎ করে চাল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন কিছু মিল মালিক। সেই সঙ্গে ভরা মৌসুমে দামও বাড়িয়েছেন। ৬২ টাকার মিনিকেট এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৬ টাকায়। কয়েকদিন আগেও ৫৬ টাকা দরে বিক্রি হওয়া কাজললতার দাম এখন ৬০ টাকা কেজি। এ ছাড়া ৫০ টাকা দরের আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা কেজি। বেড়েছে মোটা চালের দামও।
বাজারে চাল কিনতে আসা শরিফুল বলেন, ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে মজুত রেখে দাম বাড়াচ্ছে। কিন্তু আমাদের আয় বাড়ছে না। এতে পড়তে হচ্ছে বিপাকে। আরেক ক্রেতা জহির বলেন, প্রশাসন চাইলেই দাম বাড়ানোর প্রচেষ্টা রুখে দেয়া সম্ভব। এর আগেও প্রশাসন যখন তৎপর হয়েছে, তখনই দাম কমেছে কিংবা বৃদ্ধি বন্ধ হয়েছে।
ওই বাজারেই তদারকিতে ছিলেন সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান। তিনি বলেন, সকালেও আমাদের একটি টিম বাজার ঘুরে দেখেছে। দাম বেড়েছে অবশ্যই। আমরা মিলগুলোর ধান ক্রয় ও মাড়াইয়ের খরচের সঙ্গে বিক্রয় মূল্যের তুলনা করে দেখছি। কেউ অতিমুনাফা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.