কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার কুমারখালীত মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সামিয়া আফরিন সোহাগী (৭) নামের একজন ছাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় চালকসহ আরো একজন ছাত্রী গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের ৩২নং চড়াইকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলটিকে জব্দ ও চালককে আটক করেছে পুলিশ। নিহত ছাত্রী ওই বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ও উপজেলার নন্দনালপুর ইউনিয়নের চড়াইকোল হওতাপাড়ার দিনমজুর মো. সোহান শেখের মেয়ে। আহত হালিমা আক্তার মুন্নি (৭) একই এলাকার মো. হালিম আলীর ছেলে ও একই বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। আর মোটরসাইকেল চালক কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কাঞ্চনপুর রাতুলপাড়ার মো. হেকমত আলীর ছেলে মো. নাইমুল হোসেন নয়ন। তিনি একজন কসমেটিক্স ব্যবসায়ী।
দুর্ঘটনার পর বিদ্যালয় এলাকায় সড়কে স্প্রিডব্রেকার এবং ঘাতক চালকের বিচারের দাবিতে ওই বিদ্যালয়ের কয়েকশ শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে প্রায় ৩০ মিনিট সড়কের যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে কুমারখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরোধকারীদের দাবি মেনে নেন এবং যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।
এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুক্তা রাণী শিকদার বলেন, বিদ্যালয় ছুটির পর তিনি শিক্ষার্থীদের সড়ক পারাপারে সহযোগিতা করছিলেন। হঠাৎ দ্রুত গতি সম্পন্ন একটি মোটরসাইকেল দুজন বাচ্চাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলই সোহাগী মারা যায়। মুন্নি নামের আরেক ছাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে। তিনি বিদ্যালয় এলাকায় স্প্রিডব্রেকার নির্মাণ ও চালকের শাস্তির দাবি জানান।