স্টাফ রিপোর্টার: চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ঘিরে কালোবাজারিচক্র বেপরোয়া হয়ে ওঠায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও যাত্রীরা টিকিট পাচ্ছেন না। ঈদুল-আজহা উপলক্ষ্যে অগ্রিম টিকিট বিক্রির চতুর্থ দিনেও এমন ঘটনা ঘটে। পরিবারের একাধিক সদস্যকে নিয়ে অনেকে স্টেশনে রাত্রিযাপন করেও টিকিট না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। শেষের দিকে টিকিট না পেয়ে অনেককে কান্না করতেও দেখা গেছে। ১৭-২০ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েছে অনেকে ‘সোনার হরিণ’ নামক ট্রেনের অগ্রিম টিকিট পেয়েছেন। কালোবাজারি চক্রে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সদস্যরাও রয়েছেন। টিকিটসহ আরএনবির দুজনকে র্যাব আটক করেছে। অভিযোগ-কাউন্টার থেকেই টিকিট কালোবাজারিদের হাতে চলে যাচ্ছে। এ কারণে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও যাত্রীরা কাঙ্ক্ষিত টিকিট পাচ্ছেন না। কালোবাজারিচক্রে রয়েছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সদস্যরাও।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ১০টি আন্তঃনগর ট্রেনের যে পরিমাণ আসনের টিকিট কাউন্টারে বিক্রি হয় তার চেয়ে দ্বিগুণ মানুষ লাইনে দাঁড়ান। অথচ একজন যাত্রী চারটি পর্যন্ত টিকিট সংগ্রহের সুযোগ রয়েছে। টিকিট না পাওয়ায় অনেকেই বাধ্য হন দ্বিগুণ দামে কালোবাজারি থেকে টিকিট কিনতে। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে সরেজমিন দেখা যায়, সোমবারের টিকিট সংগ্রহ করতে রোববার বিকাল থেকে স্টেশনের কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। অনেকের সঙ্গে নিয়ে আসেন পরিবারের অন্য সদস্যকেও। পালাক্রমে তারা একজন একজন করে লাইনে দাঁড়ান। স্টেশনে রাত কাটানোর প্রস্তুতি নিয়েও তারা আসেন। অনেকেই রাতের খাবার ও বিশ্রাম করার জন্য বালিশও নিয়ে যান স্টেশনে। অপেক্ষার সময় কাটাতে প্রায় সবাই ব্যস্ত ছিলেন স্মার্টফোনে। এ সময় নগরীর হালিশহর এলাকার বাসিন্দা মো. ফোরকান বলেন, আমার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের আঠারবাড়ি ইউনিয়নে। ঈদুল-আজহা উপলক্ষ্যে পরিবারসহ চারজন বাড়ি যাব। তাই বিজয় এক্সপ্রেসের টিকিট নিতে আগেভাগেই লাইনে দাঁড়িয়েছি। কারণ বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে আমার গন্তব্যের কেবল ৭টি টিকিট কাউন্টারে বিক্রি করা হবে। টিকিট নিতে না পারলে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যেতে কষ্টে পড়তে হবে। র্যা ব জানায়, রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কালোবাজারে টিকিট বিক্রির সময় আরএনবির দুই সদস্যকে হাতেনাতে আটক করা হয়। এর আগে শনিবার মহানগর গোধূলির পাঁচটি টিকিটসহ আবদুর রহমান নামে এক কালোবাজারিকে আটক করে আরএনবি।