স্টাফ রিপোর্টার: প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘এখন কেন্দ্রে কেন্দ্রে ফল ঘোষণা হয়। প্রার্থীরা ঘরে বসেই জানতে পারেন ফলাফল। রিটার্নিং কর্মকর্তারা ভোট পাল্টাতে পারেন না। এবার একটি ভোটও কারচুপির চেষ্টা হলে তাৎক্ষণিক ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হবে।’ গতকাল শনিবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে বরিশাল জেলার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সভার শুরুতেই সিইসি ‘ভোটের মাঠে অনিয়ম করতেই হবে’ এই বিশ্বাস থেকে প্রার্থীদের বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কঠোরভাবে আচরণবিধি নিয়ন্ত্রণেরও নির্দেশ দেন সিইসি। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ভোট করতে বিদেশিরা তৎপর রয়েছে। এজন্য প্রার্থীদের কাছে সহযোগিতা চাচ্ছি। আপনাদের বলবো সিস্টেমের ওপর আস্থা রাখুন। ভোটারদেরই ভোট দিতে হবে, অন্য কেউ দিয়ে দেবে এটা হবে না।’ প্রার্থীদের সহায়তায় এবার জাতীয় নির্বাচন সফল করতে চান জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘নানা কারণে এবার ভোট নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। বিভিন্ন দেশ কথা বলেছে আমাদের দেশ নিয়ে। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ভোট করার দাবি আছে বিদেশিদের।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ৫০-৬০ বছরের নির্বাচনের ইতিহাসে আমরা দেখেছি প্রচারণার সময় অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটনা ঘটে। এবার নির্বাচন কমিশন থেকে প্রশাসনকে স্পষ্টভাবে বার্তা দিয়েছি এই বিষয়গুলোকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। একই সঙ্গে প্রার্থীদের প্রতি আবদার হচ্ছে আপনারাই নির্বাচনের মাঠকে পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ রাখবেন।’ বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনের সচিব মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি জামিল হাসান, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবিরসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রার্থীরা উপস্থিতি ছিলেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.