স্টাফ রিপোর্টার: দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের চোখ রাঙানিতে সংক্রমণ পরিস্থিতি বেড়েই চলেছে। একদিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দৈনিক শনাক্ত হওয়া রোগীর হার দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ২৯ শতাংশে, যা ২২ সপ্তাহ তথা ১৫৪ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। শনাক্তের এই হারের চেয়ে বেশি ছিলো সর্বশেষ গত বছরের ২২ জুলাই। সেদিন প্রতি ১০০টি নমুনা পরীক্ষায় ৩২ দশমিক ১৮টিতে কোভিড পজিটিভ আসে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, শনিবার সকাল থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশ থেকে ৩৫ হাজারের ৫১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে সরকারি-বেসরকারি ৮৫৭টি ল্যাবরেটরিতে ৩৪ হাজার ৮৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময় আরও ১০ হাজার ৯০৬ জনের দেহে করোনা পজিটিভ আসে। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি ২১ লাখ ১৬ হাজার ৮৮০টি। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের মোট হার ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ হয়েছে। আর নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়য়েছে ১৬ লাখ ৮৫ হাজার ১৩৬ জনে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ২৯ শতাংশ। এছাড়া একদিনে করোনায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে করে মোট ২৮ হাজার ২২৩ জনের মৃত্যু হলো করোনাভাইরাসে। আগের দিন (২২ জানুয়ারি) সাড়ে ৯ হাজারের বেশি শনাক্ত ও ১৭ জনের মৃত্যু হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ৮ জন নারী ও ৬ জন পুরুষ। মারা যাওয়াদের বিভাগওয়ারি বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে ৫ জন, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ ২ জন করে এবং খুলনা, বরিশাল ও রংপুর বিভাগে একজন করে মারা গেছেন। তবে এদিন রাজশাহী বিভাগে কারও মৃত্যু হয়নি। মৃতদের বয়স পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ত্রিশোর্ধ্ব ১ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ১ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪ জন, ষাটোর্ধ্ব ৫ জন, সত্তরোর্ধ্ব ১ জন এবং আশিউর্ধ্ব ২ জন রয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একদিনে সেরে উঠেছেন ৭৮২ জন। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৮৬১ জন। দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় এবং এর ১০ দিন পর করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ