করোনাভাইরাসের টিকাগ্রহণকারীদের বয়সসীমা আরও কমছে। ৩০ থেকে কমিয়ে ১৮ বছর করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বয়সসীমা কমানোর ব্যাপারে শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে নির্দেশনা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। খুব শিগগিরই এ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচাল ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, করোনার সংক্রমণরোধে ‘ফ্রন্ট লাইনার’ হিসেবে যারা কাজ করছেন, তাদের পরিবারের সদস্যেদের মধ্যে যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে তাদেরকে প্রথমে টিকা দেওয়া হবে। পরে ১৮ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সি সাধারণ নাগরিকদের টিকার আওতায় আনা হবে। শুক্রবার ঈদের তৃতীয়দিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সরকারি মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ও মহাখালী গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি হাসপাতাল তিনটি পরিদর্শন করার সময় জেনেছি- রোগীদের শতকরা ৯৭ ভাগ করোনার টিকা নেননি। তাদের অধিকাংশের বয়স ৫০ বছরের বেশি। টিকা না নেওয়ার বিষয়ে রোগীদের স্বজনরা জানিয়েছেন- কেউ টিকা নিতে ভয় পেয়েছেন, আবার কেউ অবহলো করে টিকা নেননি। এমনকি কেউ কেউ শুরুতে চিকিৎসাও নেননি। ঊর্দ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যেই স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক জানান, করোনা রোগীর চাপ সামাল দিতে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে। ঢাকার বাইরের রোগীদের জন্য বিভিন্ন জেলায় ফিল্ড হাসপাতাল করার জন্যও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত ১৯ জুলাই করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার বয়স ৩০ বছর নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে গত ৫ জুলাই করোনার টিকার বয়স ৩৫ বছর করা হয়। দেশে টিকা নিবন্ধনের শুরুর দিকে ৫৫ বছর বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। পরে নিবন্ধন কম হওয়ায় আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনতে বয়স কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সে সময় ৫৫ থেকে বয়স কমিয়ে ৪৪ বছর করা হয়। এরপর ২য় দফায় কমিয়ে ৪০ বছর করা হয়। তৃতীয় দফায় টিকা গ্রহীতাদের বয়স কমিয়ে ৩৫ বছর করা হয়। চতুর্থ দফায় তা আরও কমিয়ে ৩০ বছর করা হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ