জীবননগরে পল্লী বিদ্যুতের সাড়ে ৪ কোটি টাকার বকেয়া বিল আদায়
জীবননগর ব্যুরো: করোনা ভাইরাসকালীন বিদ্যুতের বিল প্রদান নিয়ে ভুল সিদ্ধান্তের কারণে একসাথে ৩ মাসের বিল দিতে গিয়ে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির গ্রাহকদের নাভিশ^াস। বিলম্ব মাসুল গুণতে না হলেও একসাথে তিন মাসের বিল পরিশোধ করতে গিয়ে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে অনেক গ্রাহককে। বিশেষ করে জুন মাসের বিলের কপি গ্রাহকদের দিতে গিয়ে পল্লী বিদ্যুত সমিতি হ-য-ব-র-ল অবস্থায় মধ্যে পড়েছে। অনেক গ্রাহকের পরিশোধিত বিল আবার রানিং মাসের বিল সাথে যোগ করে দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে গ্রাহকদের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অবশ্য অফিসে গেলে বিল সংশোধন করে দেয়া হলেও অনেক গ্রাহক বিষয়টি বুঝতে না পেরে ওই বিল পরিশোধ করছে। এ অবস্থার মধ্যে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতি জীবননগর উপজেলা হতে প্রায় ৪ কোটি টাকার বকেয়া বিল আদায় করতে সক্ষম হয়েছে।
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির জীবননগর উপজেলার গ্রাহকদের অভিযোগ করোনায় বিদ্যুত বিল নিয়ে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিলো তা ছিলো একটি ভুলে ভরা সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্তের ফলে তাদেরকে এখন এক সাথে ৩ মাসের বিল পরিশোধ করতে গিয়ে দিশেহারা হতে হচ্ছে। তাছাড়া এ বিল প্রস্তুত করা হয়েছে অফিসে বসে। গত বছরের বিলের হিসেব দেখে এ বছরের বিল করা হয়েছে। যার ফলে রিডিঙের তারতম্যে ব্যাপক ফারাক রয়েছে। এছাড়াও পরিশোধকৃত বিলের টাকা সংযোজন করে সমন্বয়ের নামে গ্রাহকের হাতে ধরিয়ে দেয়া, সমন্বয়, ডিমান্ড চার্জ ও মিটার ভাড়ার নামে প্রতি বিলে ৫০ থেকে ৬০ টাকা গ্রাহকদের পরিশোধ করতে হচ্ছে। এ অবস্থার মধ্যে ৩০ জুনের মধ্যে বিদ্যুত বিল পরিশোধ করতে গিয়ে গ্রহাকদের নাকানি চুবানি খেতে হয়েছে।
করেনার কারণে বকেয়া পড়া বিল পরিশোধের জন্য ৩০ জুন সময় বেধে দেয় পল্লী বিদ্যুত সমিতি। বেধে দেয়া এ সময়ের মধ্যে ৪ কোটি ৭০ লাখ ৭৯ হাজার ২৭৭ টাকার মধ্যে ৪ কোটি ৩৯ লক্ষ ২৮ হাজার ৫৫৮ টাকার বিল আদায় করতে সক্ষম হয়েছে বলে এজিএম মোহাইমিনুল জানিয়েছেন।
গ্রহাকদের অভিযোগের বিষয়ে জীবননগর পল্লী বিদ্যুত সমিতির এজিএম মোহাইমিনুল জানান, একসাথে বিল করতে গিয়ে অল্প কয়েকটি বিলে ত্রুটি বিচ্যুতি হয়েছে। বিল নিয়ে এলে সংশোধন করে দেয়া হচ্ছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ