স্টাফ রিপোর্টার: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের টিকা নেয়ার জন্য জনসাধারণের জন্য ফের নিবন্ধনের সুযোগ উন্মুক্ত হয়েছে সুরক্ষা অ্যাপটির। মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। যারা এখনও নিবন্ধন করেননি, তারা সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মে গিয়ে নিবন্ধন করে নিতে পারবেন। এবার নিবন্ধনের বয়সসীমা ৪০ বছর থেকে কমিয়ে ৩৫ বছর করা হয়েছে। এছাড়া এবার টিকা নিবন্ধনের অগ্রাধিকার তালিকায় যুক্ত হচ্ছেন কৃষক, শ্রমিক ও আইনজীবীরা। ৫৫ বছর বয়সি রোহিঙ্গারাও নিবন্ধন করতে পারবেন। এর আগে দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে বুধবার সকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে জানিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র। নির্দেশনা পেয়ে মঙ্গলবার রাত থেকেই সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মে পরীক্ষামূলকভাবে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। বুধবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগে নিবন্ধনকারীরা কোনো ধরনের সমস্যায় পড়লে সকালের মধ্যেই সেগুলোর সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে সরকারের আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক গণমাধ্যমকে বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বুধবার থেকে যাদের বয়স ৩৫ বছরের বেশি, তারা এখানে নিবন্ধন করতে পারবেন। এছাড়াও অন্যান্য ক্যাটাগরিতেও নিবন্ধনের ব্যবস্থা থাকছে। যারা নিবন্ধন করবেন, তারা এসএমএস পাওয়ার পর কেন্দ্রে গিয়ে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। এবার উপজেলা পর্যন্ত যে কেন্দ্রগুলোতে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে তথ্য দেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিশেষ ক্যাটাগরি, বিদেশগামীদের ক্যাটাগরিসহ সবার জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাবে এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া।
উল্লেখ্য, কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি থেকে বাংলাদেশ ফাইজারের এক লাখ টিকা পেয়েছে। আরও ২৫ লাখ ডোজ টিকা এসেছে মডার্নার। এছাড়া চীনের সিনোফার্মের কাছ থেকে কেনা টিকার ২০ লাখ ডোজও এসেছে দেশে। এসব টিকা দিয়েই এবার ফের জনসাধারণ পর্যায়ে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবার দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রয়োগ করা হবে মডার্নার ভ্যাকসিন। ফাইজারের ভ্যাকসিন দেয়া হবে কেবল ঢাকার সাতটি কেন্দ্রে। আর বাকি সব এলাকায় দেয়া হবে চীনের সিনোফার্ম ভ্যাকসিন।
প্রসঙ্গত. করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে জনসাধারণ পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়। ওই সময় ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে কেনা এবং ভারতের কাছ থেকে উপহার পাওয়া অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। একপর্যায়ে সেই ভ্যাকসিনের মজুত শেষের দিকে চলে এলে ভ্যাকসিন প্রয়োগ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয় ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহীদের নিবন্ধনও।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ