১৯ জুন ২০২২ সালের মাধ্যমিক (এসএসসি) পরীক্ষা শুরু হবে। এরপর ৬ জুলাই এ পরীক্ষা শেষ হবে বলে জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। এরপর ব্যাবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (২৭ এপ্রিল) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম আমিরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করা হয়। তাতে এ খবর বলা হয়। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হলেও করোনা মহামারির কারণে এ বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়।
এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীকে ১৪টি নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে। সেগুলো হলো-
১. পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।
২. প্রশ্নপত্রের উল্লিখিত সময় অনুযায়ী শুরু হবে পরীক্ষা।
৩. প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা হবে। উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না। বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২০ মিনিট এবং সৃজনশীল পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট।
৪. পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে তিন দিন আগে সংগ্রহ করবে।
৫. সব শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষার বিষয়সমূহ এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যাবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে পাঠাবে।
৬. পরীক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রে (ওএমআর) রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।
৭. পরীক্ষার্থীকে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যাবহারিক অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে।
৮. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী শুধু নিবন্ধনপত্রে বর্ণিত বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
৯. কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা (সৃজনশীল/রচনামূলক, বহুনির্বাচনি ও ব্যাবহারিক) নিজ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসনবিন্যাস করতে হবে।
১০. পরীক্ষায় নন-প্রগ্রামেবল সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে।
১১. কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি বা পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে মোবাইল আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবে না।
১২. সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যাবহারিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির জন্য একই উপস্থিতিপত্র ব্যবহার করতে হবে।
১৩. ব্যাবহারিক পরীক্ষা স্ব-স্ব কেন্দ্ৰ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।
১৪. পরীক্ষার ফল প্রকাশের সাত দিনের মধ্যে পুনর্নিরীক্ষার জন্য অনলাইনে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ