স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, দেশের এমপি-মন্ত্রী আর আওয়ামী লীগ কর্মীরাই বেহেশতে আছেন। কারণ, সরকার সমর্থকরা সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে টাকার পাহাড় কামিয়েছে। তাদের কোনো অভাব নেই। প্রতিবছর তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। নিজেদের দলের লোকদের বাঁচাতেই দুর্নীতিবাজ ও পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছে না সরকার।
অন্যদিকে, অর্থনৈতিক সংকটে দেশের মানুষের হিমশিম অবস্থা। দ্রব্যমূল্য ঊর্ধগতির কারণে সীমাহীন কষ্টে আছে সবাই। দুর্নীতিবাজ আর লুটেরা কখনোই সাধারণ মানুষের কষ্ট বোঝে না। দুর্বিসহ অবস্থা থেকে মুক্তি চায় দেশের মানুষ। জাতীয় পার্টি মানুষকে মুক্তি দিতেই রাজনীতি করছে। শনিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে এলডিপি’র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মো. আবু জাফর সিদ্দিকীর জাতীয় পার্টিতে যোগদান অনুষ্ঠানে জিএম কাদের এসব কথা বলেন। এ সময় আরো যোগ দেন এলডিপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এইচ এম বদরুদ্দোজা, ইমদাদুল ইসলাম সোহান, মো. আব্দুল হাই নোমান, মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মো. ফেরদৌস ফাহিম। এদিকে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এবং জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির আহবায়ক শেরীফা কাদের বলেছেন, ভালো নেই দেশের মানুষ। মানুষের হাতে টাকা নেই। তাই, চাল, ওষুধ ও শিশু খাদ্য কেনার সামর্থ কমে গেছে সাধারণ মানুষের। দেশের সাধারণ পরিবারে হাহাকার উঠেছে। দ্রব্যমূল্য এভাবে বাড়তে থাকলে পরিবার নিয়ে মানুষের বেঁচে থাকাই কষ্টকর হয়ে পড়বে। শনিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি ও বিভিন্ন অঙ্গ এবং সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, নাজমা আকতার এমপি, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও জাতীয় যুব মহিলা পার্টির আহ্বায়ক নাজনীন সুলতানা, ভাইস চেয়ারম্যান এইচএম শাহরিয়ার আসিফ, যুগ্মমহাসচিব প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদা রহমান মুন্নি, দফতর সম্পাদক এমএ রাজ্জাক খান, এনজিও বিষয়ক সম্পাদক হাফিজ উদ্দিন মাস্টার, যুগ্মসাংগঠনিক সম্পাদক এসএম রহমান পারভেজ, যুগ্ম-দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় নেতা ও সাংস্কৃতিক পার্টির সদস্য সচিব আলাউদ্দিন আহমেদ, জাতীয় সাংস্কৃকি পার্টির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মিনি খান, তাসলিমা আকবর রুনা, মিথিলা রওয়াজা, ইলোরা ইয়াসমিন, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, সীমানা আমির, শারমিন, মোতাহার হোসেন শাহীন, ইয়াসমিন, তাসলিমা, জিএম রাজু, আফসানা ইয়াসমিন।