স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে কোনো প্রকল্প গ্রহণ করলে সেখানে পরিবেশ যাতে গুরুত্ব পায় সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। জলাধার সংরক্ষণ, পর্যাপ্ত সবুজ এলাকা রাখা ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা রেখেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। গতকাল গণভবনে ‘গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়’ এবং ‘রাজউক’ প্রস্তাবিত ঢাকার শেরেবাংলা নগরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ; পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের শিবচরে ‘শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার’ নির্মাণ; কনজারভেশন অব ফ্লাড ফ্লো জোন অ্যাট তুরাগ রিভার অ্যান্ড কম্প্যাক্ট টাউনশিপ ডেভেলপমেন্ট এবং কেরানীগঞ্জ ওয়াটার ফ্রন্ট স্মার্ট সিটি নির্মাণ প্রকল্পের স্থাপত্য- নকশার উপস্থাপনা পর্যবেক্ষণকালে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। যেখানে সেখানে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে যাতে না পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের খেয়াল রাখার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট শিল্প জোনে হবে। অপরিকল্পিত শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যাবে না। এ সময়ে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ডাইভারসিটি বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, অ্যাগ্রো প্রসেসিং এবং আইটি ডিভাইস সংক্রান্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী রপ্তানি বাড়ানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। ছোট ছোট ইন্ডাস্ট্রিকে ভর্তুকি দেওয়ারও কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব শহীদ উল্লা খন্দকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।