কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-উর রসিদ আসকারী’র বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান প্রায় সাড়ে ৫শ’ কোটি টাকার মেগা প্রকল্পে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজপ্রীতি এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ঘুষ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ তুলে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন করেছে। গতকাল শনিবার দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের এনএস রোডের বক চত্বরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কর্মকর্তা/কর্মচারী সমিতির ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এসময় নানা অভিযোগ সম্বলিত ব্যানার ও ফেস্টুন-প্লাকার্ড তুলে ধরে অবিলম্বে উপাচার্যের পদত্যাগসহ সহযোগী সাবেক প্রক্টর মাহবুবর রহমানকে বহিষ্কার ও গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহসভাপতি প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এবং কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মীর মো. মোর্শেদুর রহমান পরিচালনায় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. মাহবুবুল আরফিন, প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূইয়া, ড. সাজ্জাদ হোসেন, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি মো. শামছুল ইসলাম জোহা, সদস্য উকিল উদ্দিন, ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নিয়োগ বাণিজ্য ও টেন্ডার বাণিজ্যের হোতা দুর্নীতিবাজ ভিসি ড. আসকারী দায়িত্ব গ্রহণ করেই প্রগতিশীল এবং ছাত্রলীগের রাজনীতি ধবংস করে জামায়াত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে চলেছেন। তিনি একটি সিন্ডিকেট তৈরী করে সেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সকল প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতি পরিচালনা করছেন। প্রতিবাদ করলেই নেয়া হয় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয় আজ তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হতে চলেছেন। বক্তারা, বিশ্ববিদ্যালয়কে বাঁচাতে অবিলম্বে এই দুর্নীতিবাজ ভিসিকে অপসারণ করে ভিসি এবং তার অনিয়ম-দুর্নীতি সিন্ডিকেটের সকল সদস্যের অপকর্ম তদন্তপূর্বক বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। তারা বলেন, আগামী ২০ আগস্ট বর্তমান উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তবে এই দুর্নীতিবাজ উপাচার্য দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পেতে দেন দরবার করছেন। তিনি যদি পুনরায় নিয়োগ পান তাহলে ক্যাম্পাসে মারাত্মক অস্থিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
তবে এ বিষয়ে ইবি উপাচার্য মুঠোফোনে আলাপকালে জানান, আমার আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি আছে মেয়াদ পূর্তির। এযাবৎকাল উনারা কোনো অভিযোগ করলেন না, এখন হঠাৎ করে এসে এসব অভিযোগ উত্থাপন হীন উদ্দেশ্যপ্রনোদিত। অভিযোগগুলো সম্পূর্নরূপে অসত্য, বানোয়াট ও মনগড়া। এবিষয়ে যেকোনো ফোরামে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারবো। তাছাড়া বিশ^বিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতি, প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠন আমার মেয়াদের কর্মকান্ড সম্পর্কে লিখিত সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে দাবি করেন ভিসি।
পূর্ববর্তী পোস্ট
দামুড়হুদায় পুলিশের পৃথক মাদকবিরোধী অভিযানে মাদকদ্রব্যসহ তিনজন আটক
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ