আ.লীগের অধীনে কোনোদিন সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না
ময়মনসিংহে বিভাগীয় গণসমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল
স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনোদিন কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে সেই সরকারের অধীনে একটা নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। এরপর সেই কমিশনের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠিত হবে। তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, বিজিবি দিয়েও গাইবান্ধার উপনির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। দুপুরেই নির্বাচন বন্ধ করে দেয়ায় আবারো প্রমাণ হয়েছে যে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। তাই আমাদের দাবি পরিষ্কার, বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে এবং সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। গতকাল বিকেলে নগরীর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠে আয়োজিত বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ২০১৪ সালে ও ২০১৮ সালে কেউ ভোট দিতে পারেনি। এটা আবার প্রমাণিত হয়েছে গাইবান্ধার উপনির্বাচনে। আমরা আগেই বলেছিলাম সরকার পরিবর্তন না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। ১৩৮০টি সিসিটিভি লাগিয়ে, পুলিশ-র্যাব এমনকি সেনাবাহিনী দিয়েও সেই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। আওয়ামী লীগকে চোরের দল আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, কথাটি আমার নয়, দুর্ভিক্ষের সময় ওদের নেতা বঙ্গবন্ধুই বলেছিলেন। আওয়ামী লীগের আমলে দুর্ভিক্ষ হয়েছিলো। আবার তারই কন্যা দুর্ভিক্ষের কথাই বলছেন। চুরি আর সন্ত্রাস আওয়ামী লীগের মুদ্রাগত ও প্রকৃতিগত দোষ। উন্নয়ন ও কুইক রেন্টালের নামে তারা হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে বিদেশে পাচার করছে। আওয়ামী লীগ কথায় কথায় লাঠি নিয়ে আসে, হুঙ্কার দেয়। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হুঙ্কার দিয়ে আর লাভ হবে না। সাধারণ মানুষ এখন সচেতন। ফখরুল বলেন, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করেছে। ফেসবুক নিয়ন্ত্রণ করতেই ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন প্রণয়ন করেছে। বর্তমানে জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য লাগামহীন। ১০ টাকায় চাল, ঘরে ঘরে চাকরি দেয়ার কথা বলে কিছুই করতে পারেনি। বিচার বিভাগ ও প্রশাসনকে দলীয়করণ করায় মানুষ সঠিক বিচার পায় না। বিএনপির পাঁচজন বীর কর্মী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশকে মুক্ত করার জন্য প্রাণ দিয়েছেন। তাদের রক্তদানকে বৃথা যেতে দেয়া হবে না। গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য সারা জীবন যিনি চেষ্টা চালিয়েছেন, সংগ্রাম করেছেন, তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে গৃহে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। সেই দেশনেত্রীর জন্য ময়মনসিংহের বন্ধুরা মঞ্চে একটি চেয়ার খালি রেখেছেন, সে জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।
সমাবেশে ফখরুল আরো বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ দেখিয়েছে, এখন ময়মনসিংহের মানুষ দেশের মানুষকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে নতুন করে। এ দেশের মানুষ এখন জেগে উঠছে, জেগে উঠবে। ইনশা আল্লাহ আপনাদের সবার সমবেত প্রচেষ্টায় এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করব, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করব। এই হোক আমাদের আজকের শপথ। আজকে আমি যখন ময়মনসিংহে রওনা দিলাম গাজীপুর পার হওয়ার পর মনে হলো হরতাল চলছে নাকি কারফিউ চলছে। রাস্তায় কোনো গাড়ি নেই, ট্রাক নেই। ছোট ছোট ট্রাকে আমাদের কিছু নেতাকর্মী আসছে। এরপরে শুনলাম মাঝখানে লাঠিসোঁটা নিয়ে নাকি ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা দাঁড়িয়ে আছে। তিনি বলেন, তারপর যখন কাছে পৌঁছলাম দেখলাম সোনার ছেলেরা লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেছে। আমাদের ছেলেরা তাদের তাড়িয়ে দিয়েছে। শত বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে আজকের সভা প্রমাণ করেছে বাংলাদেশের মানুষ কোনো বাধা মানবে না। তারা অবশ্যই এই দেশকে সুক্ত করে ছাড়বে। মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আমরা এখানে এসেছি আমাদের দেশকে আবার সঠিক জায়গায় ফিরিয়ে আনতে। আজকের এই সমাবেশে দেখছেন চেয়ারটা খালি আছে। এটা কার জন্য? দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার জন্য। তিনি আমাদের দলের প্রধান। তিনি গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন।
ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এ কে এম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু, মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ ও উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মশিউর রহমান, ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান ফজলু, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কাউসার কামাল, বিএনপির সহ-সাংঠনিক সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুন ও শরীফুল আলম, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সভাপতি অফরোজা আব্বাস, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা, মাহবুবুর রহমান লিটন, শেরপুর জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক রুবেল, যুবদল কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান মাহমুদ টুকু, নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা: আনোয়ারুল হক, জামালপর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল কবীর তালুকদার, ময়মনসিংহ উত্তর জেলার আহ্বায়ক অধ্যাপক এ কে এম এনায়েত উল্লাহ কালাম, কিশোরগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, ময়মনসিংহ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফখরুদ্দিন বাচ্চুু, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহীন, যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না, স্বেছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদল সভাপতি কাজী রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল সালেহীন জুয়েল প্রমুখ।
গণসমাবেশ পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু করার পরপরই বিএনপির মহাসচিব মঞ্চে আসেন। বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে হত্যা, হামলা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বিএনপি এই বিভাগীয় গণসমাবেশের আয়োজন করে। সকাল থেকে ধানের শীষ, জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা ও নেতাকর্মীদের ছবি সংবলিত ব্যানার হাতে নিয়ে খ- খ- মিছিল সহকারে সভাস্থলে নেতাকর্মীরা আসতে থাকেন। দুপুরের আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় নগরীর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠ।
গণসমাবেশে মির্জা আব্বাস বলেছেন, এই অবৈধ সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায় না, বরং আওয়ামী লীগই ভয় পায়। এজন্য তারা নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে রাজি হয় না। বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমে আমরা নিরপেক্ষ সরকার আদায় করে ছাড়ব। তিনি বলেন, হত্যা, গুম, হামলা ও মামলা করে কোনো কাজ হচ্ছে না। এরপরও বিএনপির সমাবেশে এত বিপুল লোক সমাগম হয়। শত বাধা উপেক্ষা করে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ময়মনসিংহের মানুষ জেগে উঠেছে। জনগণের বানের পানিতে হাসিনার সরকার ভেসে যাবে। নেতাকর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, দেশের সাড়ে তিন কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে। বেকারত্ব বেড়েছে। চাকরি নেই। শিক্ষার ব্যয় বেড়েছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। এ দেশকে মুক্ত করতে হবে।
ফেরার পথে বিএনপি কর্মীদের সাথে আ’লীগের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া : গণসমাবেশ থেকে ফেরত বিএনপি নেতাকর্মীরা ময়মনসিংহ রেলস্টেশনে ট্রেন ধরতে এলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। বিকেল ৫টার দিকে বিএনপির সমাবেশ শেষ হলে গফরগাঁওগামী কয়েক শ’ নেতাকর্মী বাঘমারা হয়ে রেলস্টেশনের উদ্দেশে আসতে থাকে। স্টেশনে প্রবেশের সময় রেলস্টেশনে অবস্থানকারী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় তিনজন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর আগে ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ বিকেল তিন টায় রেলওয়ে স্টেশন কৃষ্ণচুড়া চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালনের জন্য জমায়েত হয়। এতে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, বিএনপির একদল কর্মী হঠাৎ আওয়ামী লীগের অবস্থান কর্মসূচিতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে আওয়ামী লীগের কর্মীরা প্রতিহত করে।
অন্য দিকে মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ বলেন, সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর বিএনপির জেলা ও উপজেলা নেতাকর্মীদের হামলা করার সাহস নেই। আওয়ামী লীগের লোকজন হামলা করলে বিএনপি নেতাকর্মীরা তা প্রতিহত করার চেষ্টা করে। সমাবেশ শেষে বাড়ি ফেরার পথে রেলওয়ে স্টেশনে বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলার শিকার হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশন স্টেশনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
নগরীতে দিনভর উত্তেজনা: সমাবেশকে ঘিরে গতকাল সারা দিনই ময়মনসিংহ নগরীতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি ছিল। নগরীতে রিকশা অটোর চলাচল ছিল সীমিত। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অনেক এলাকার দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় দুপুরের পর। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া অনেকে ঘর থেকে বের হননি। মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আন্তঃজেলায় বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় চালকরা। শুধু বাস নয়, ট্রাকসহ অন্য যানবাহনও চলাচলে বাধা দেয়া হয়। সাধারণ যাত্রীদেরও আটকে দেয়া হয়। এতে বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী বাস অথবা ট্রাকে সমাবেশস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। তবু বৃহত্তর ময়মনসিংহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা খ- খ- মিছিল নিয়ে বিকল্প পথে সমাবেশস্থলে পৌঁছায়। কেউ কেউ ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়ে নৌকায়ও নগরীতে এসে পৌঁছান। শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনাসহ বিভিন্ন এলাকার নেতাদের পোস্টার ব্যানারসহ নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসেন। বেলা ২টায় সমাবেশ শুরুর ঘোষণা থাকলেও এর আগেই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। মাসকান্দা থেকে চরপাড়া পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ের আগেই সভার কাজ শুরু করেন আয়োজকরা। এরপর নেতাকর্মীরা আশ্রয় নেন মাঠ সংলগ্ন ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কে। এ সময় ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রঙিন টি শার্ট, টুপি ও জাতীয় পতাকা হাতে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা সমাবেশ শুরুর পরও সমাবেশস্থলে আসতে থাকে। সমাবেশস্থলে পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ প্রহরা ছিল চোখে পড়ার মতো।