স্টাফ রিপোর্টার: ভারতে আটকে থাকা পেঁয়াজ অবশেষে দেশে আসতে শুরু করেছে। পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার দেশের তিনটি স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় ১২০০ টন পেঁয়াজ দেশে এসেছে। তবে এই পেঁয়াজের মানভেদে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ নষ্ট হয়েছে বলে জানান আমদানিকারকরা। এদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ দেশে আসার খবরে রাজধানীসহ দেশের বাজারে পণ্যটির দাম কমেছে। শনিবার পাইকারি আড়তে পেঁয়াজের কেজিতে ৫ টাকা কমেছে। আগেও পাইকারিতে কিছুটা দাম কমেছিলো। খুচরা বাজারেও শনিবার পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
সাতক্ষীরার ভোমরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ এবং দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আসছে। দেশে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত হওয়ায় বাজারে কম দামে পেঁয়াজ বিক্রির পরামর্শ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার মনিটরিং টিম। শনিবার রাজধানীর পাইকারি আড়ত শ্যামবাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে এবং অন্যান্য বাজার তদারকিতে আমদানি করা পেঁয়াজ ৫০ টাকার কমে বিক্রির পরামর্শ দেয় কমিটি। ব্যবসায়ীরাও ওই দামে বিক্রিতে সম্মত হয়েছেন বলে জানান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য শাহ মো. আবু রায়হান আলবেরুনী বলেন, ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আমদানি পর্যায়ে থাকা পেঁয়াজের মধ্যে মোট ২৫ হাজার টন বাংলাদেশে আসবে। এলসি নিষ্পত্তি হওয়ার পরে বন্দরে আটকে থাকা এবং এলসি নিষ্পত্তি না হওয়া সব ধরনের পেঁয়াজ আসবে। তবে ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য বেধে দিয়ে ভারতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে সে ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি নয়াদিল্লি।
তিনি বলেন, দেশি পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। ভারতে আটকে থাকা পেঁয়াজও দেশে ঢুকছে। এই পেঁয়াজ মজুদ থাকা অবস্থাতেই টিসিবির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ থেকে এক লাখ টন পেঁয়াজ আনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। পাশাপাশি সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, এস আলমসহ আমদানিকারকরা আরও এক লাখ টনের বেশি আমদানির জন্য এলসি খুলেছে। এসব পেঁয়াজ দেশে এলে নতুন মৌসুম পর্যন্ত বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকবে। ফলে বাজারে স্বাভাবিক দামে পেঁয়াজ বেচাকেনা হবে।