অপুষ্টিজনিত রোগ প্রতিরোধে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে
চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে প্রেস কনফারেন্সে সিভিল সার্জন
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাস্পেইন উপলক্ষে প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে সদর হাসপাতাল সম্মেলনকক্ষে এ প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। প্রেস কনফারেন্সে জেলার সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে সার্বিক তথ্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। আজ রোববার থেকে আগামী ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ৬-১১ মাস বয়সী এবং ১-৫ বছর বয়সী জেলার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬৪৯ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তবে, সরকারি ছুটির দিনে কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এসময় পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে তথ্য তুলে ধরেন মেডিকেল অফিসার (ডিসি) ডা. আওলিয়ার রহমান। এসময় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সহকারী প্রধান পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আখতার হোসেন, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক আব্দুর রাজ্জাক, জেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর গোলাম ফারুক ও সহকারী স্টোর কিপার (ইপিআই) রেহানা খাতুন উপস্থিত ছিলেন। প্রেস কনফারেন্সে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচির নেতৃত্বে ৩০ জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, মোট ৯শ’ আউটরীচ কেন্দ্রের মাধ্যমে জেলার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬৪৯ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ কাজে ১ হাজার ৮শ’ জন স্বেচ্ছাসেবক অংশগ্রহণ করছেন। মোট সরকারি ও বেসরকারি কর্মীর সংখ্যা ৫৬৩ জন এবং ১ম সারির তত্ত্বাবধায়ক ১১৩ জন তদারকি করছেন। ইপিআই আউটরীচ টিকাদান কেন্দ্রে ১-৫ বছর বয়সী সকল শিশুকে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ১টি লাল রঙের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল (২,০০,০০০ আইইউ) এবং ৬-১১ মাস বয়সী সকল শিশুকে নীল রঙের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল (১,০০,০০০ আইইউ) খাওয়ানো হবে।
জেলার সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান বলেন, ভিটামিন ‘এ’ প্লাস কার্যক্রম কার্যকর করতে শিশুদের রেজিস্ট্রেশন ও ট্রেনিং সম্পন্ন করা হয়েছে। ক্যাপসুল চলে এসেছে। করোনার জন্য স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। মাস্ক, সাবান, পানি ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকবে। জনগণকে জানাতে মাইকিং ও মসজিদে প্রচারের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কোনো শিশু বাদ না পড়ে সেদিকে সচেতন থাকতে সকলকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অপুষ্টিজনিত রোগ প্রতিরোধে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। খাদ্যের মাধ্যমে ভিটামিন-এ দেয়া হয়। ভিটামিন-এ কারণে অন্ধত্বজনিত রোগ হয়। ৬ মাস পর্যন্ত শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। তারপর সুষম খাবার খাবে। বুকের দুধ খাওয়াতে হবে দুই বছর পর্যন্ত। আমাদের দেশে শিশু মৃত্যুর হার বেশি। এসডিজি বাস্তবায়নে ২০৩০ সালের মধ্যে শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে হবে। ভিটামিন-এ কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। কোনো অসুবিধা হলে আমাদের মেডিকেল টিম থাকবে জানাবেন। যেকোনো স্বাস্থ্য সম্পর্কীত বিষয় মিডিয়ায় তুলে ধরার পূর্বে আমাদের সাথে কথা বলে নেবেন। ভিটামিন-এ খেয়ে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার কথা নয়। যেসকল শিশুর নিবন্ধন হয়েছে এবং যারা বাইরে থেকে এসেছে তাদেরকেও খাওয়ানো হবে। খুব অসুস্থ বাচ্চাদের খাওয়ানো হবে না। পরে সুস্থ হলে খাওয়ানো হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।