স্টাফ রিপোর্টার: ঘূর্ণিঝড় অশনি গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল ছুঁয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির একাংশ স্থলভাগে, আরেক অংশ সমুদ্রে অবস্থান করছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে এটি আরও দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তবে এর প্রভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা আছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে এসব কথা জানা গেছে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর-আইএমডি ঘূর্ণিঝড় অশনি নিয়ে দেয়া পূর্বাভাসে বলেছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অন্ধ্র উপকূলে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। এর সঙ্গে থাকা বিশাল মেঘমালা ভারতের অন্ধ্র, ওডিশা রাজ্য এবং বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে গতকাল রাত থেকে আজ এবং পরশু বৃষ্টি চলতে পারে। সেই সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত ছাড়া ঘূর্ণিঝড়টির তেমন কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না। ঘূর্ণিঝড়টির একাংশ অন্ধ্র উপকূলে আর একাংশ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি হারিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদরা জানান, বাংলাদেশ ও ভারতে ওই বৃষ্টি ১৪ মে পর্যন্ত চলতে পারে। আজ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে ১৬৯ মিলিমিটার। ঢাকায় সারা দিনে ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দেশের বেশির ভাগ এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সারাদিনে ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দর এবং কক্সবাজার উপকূলকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সাগরের মাছ ধরার নৌকাসহ সব ধরনের নৌযানকে সাবধানে চলাচল করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
অর্থনৈতিক অস্থিরতা সরকারকে ভাবাচ্ছে : কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধ
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ