মাথাভাঙ্গা মনিটর: ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নিজেদের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলছে পাকিস্তান। স্বাভাবিকভাবেই দলটিকে নিয়ে বড় প্রত্যাশা সমর্থকদের। তবে সেই প্রত্যাশা পূরণে মাঠে নেমে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরে সেমিফাইনালের রাস্তাটা কঠিন করে ফেলেছে দলটি। তবে এখনও দুই ম্যাচ হাতে আছে পাকিস্তানের। যা নিয়েই আশায় বুক বাঁধছেন দেশটির সাবেক দুই ক্রিকেটার শোয়েব আখতার ও শোয়েব মালিক। গ্রুপপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়েছে ভারত। অন্যদিকে একই গ্রুপে প্রথম ম্যাচে জয় পেয়ে এগিয়ে রয়েছে নিউজিল্যান্ডও। তাই বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জন্য সেমিতে যাওয়া একটু কঠিনই হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এখনও নিরাশ হতে চান না দুই পাকিস্তানি কিংবদন্তি। দুই শোয়েবের বিশ্বাস গ্রুপপর্বের বাকি দুই ম্যাচ বাংলাদেশ ও ভারতকে হারিয়েই সেমিতে যাবে পাকিস্তান। শোয়েব মালিক ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন, ‘আমি খুবই আশাবাদী যে পরের ম্যাচে আমাদের ভারতকে হারানোর দারুণ সুযোগ আছে। এরপর বাংলাদেশের সঙ্গেও জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। এটা ঠিক যে আমাদের মনোবল এখন তলানিতে, আত্মবিশ্বাসও কমে গেছে। কিন্তু আমার মনে হয় এখনো নিজেদের চেনানোর বাকি আছে।’ মালিক আরো বলেন, ‘ভারতকে বিপক্ষে জেতার সামর্থ্য আমাদের দলের আছে। কিন্তু এখন দায়িত্বটা তাদের (খেলোয়াড়দের)। সিনিয়রদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে।’ অন্যদিকে শোয়েব আখতার এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার পরামর্শ দিয়েছেন বাবরদের। বলেন, ‘রক্ষণাত্মক না হয়ে তোমরা আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলো। ভারতের বিপক্ষে তোমাদের শুভকামনা জানাই। আশা করি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যে ভুল করেছ, সেগুলোর পুনরাবৃত্তি করবে না এবং এত কম স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করবে না।’ শোয়েব আখতার দিক নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ‘একাদশে অন্তত ৫-৬ জন বোলার রাখা উচিত ছিল। ভারত সাধারণত ৫-৬ জন বোলার নিয়ে একাদশ সাজায়। (কখনো কখনো) ৭ বোলার নিয়েও খেলে। আবারও বলছি, আমাদের পরিকল্পনা প্রক্রিয়ায় কিছুটা ঘাটতি আছে। তোমরাই নিজেদের কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলেছ।’
পূর্ববর্তী পোস্ট
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.