মাথাভাঙ্গা মনিটর: সৌদি আরবের ম্যাচটাই আর্জেন্টিনাকে ঠেলে দিয়েছে এই অবস্থায়। সেই ম্যাচে প্রত্যাশিত জয়টা তুলে ফেলতে পারলে শেষ ম্যাচে পোল্যান্ডের বিপক্ষে খানিকটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কথা ছিল আর্জেন্টিনার। সেটা হয়নি বলে শেষ ম্যাচটাও আর্জেন্টিনার জন্য মেক্সিকোর বিপক্ষে ম্যাচের মতোই বাঁচা-মরার লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে। সৌদি ম্যাচের ধাক্কা আর্জেন্টিনা কাটিয়েছে দ্বিতীয় ম্যাচে এসে। লিওনেল মেসির গোল আর তার অ্যাসিস্টে এনজো ফের্নান্দেজের দারুণ এক লক্ষ্যভেদে উত্তর আমেরিকার দল মেক্সিকোকে হারিয়েছে লিওনেল স্ক্যালোনির শিষ্যরা। শেষ ম্যাচের সমীকরণটা অবশ্য তাতে বদলে যায়নি। মোটামুটি ‘সবকিছু, না হয় কিছুই নয়’ পরিস্থিতিতে এসে দাঁড়িয়েছে আর্জেন্টিনা। পোল্যান্ডকে হারালেই ‘সি’ গ্রুপের সেরা দল হয়ে শেষ ষোলোয় যাওয়া অনেকটাই নিশ্চিত। আর হেরে বসলেই বিদায় নিতে হবে দলটিকে। এমন এক ম্যাচে এসে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা দলে বড় এক পরিবর্তনই আসতে যাচ্ছে। আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, ‘উইনিং কম্বিনেশন’ ভাঙতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা। আসতে যাচ্ছে অন্তত দুটো পরিবর্তন। প্রথম ম্যাচে রাইটব্যাক হিসেবে খেলেছিলেন নাহুয়েল মলিনা। তবে সেই ম্যাচে তিনি চোখে পড়ার মতো কোনো পারফর্ম্যান্স দিতে পারেননি। দ্বিতীয় ম্যাচে তাই তার জায়গায় খেলানো হয় গনজালো মন্তিয়েলকে। কিন্তু দলটির কোপা আমেরিকা জয়ের অন্যতম এই সদস্যও মেক্সিকোর বিপক্ষে বেশ সাদামাটা পারফর্মই করেছেন। ফল বাধ্য হয়ে শেষ ম্যাচে মলিনাকেই ফেরাতে পারেন কোচ স্ক্যালোনি। পরিবর্তন অবশ্য এই একটাই নয়। মিডফিল্ডার লিয়ান্দ্রো পারেদেসও জায়গা হারাতে পারেন। তার জায়গায় আসতে পারেন আগের ম্যাচ জয়ের অন্যতম নায়ক এনজো ফের্নান্দেজ কিংবা গিদো রদ্রিগেজের একজন।