প্রথম দিনে ৯ উইকেটে জিম্বাবুয়ের ২২৭ : তাইজুলের ফাইফার

মাথাভাঙ্গা মনিটর: চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনটা দুই ভাগে ভাগ করে নিলে বলা যায়-প্রথম দুই সেশন ছিল জিম্বাবুয়ের, আর শেষ সেশন এককভাবে বাংলাদেশের। দিনের শেষদিকে তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণি ও নাঈম হাসানের সঙ্গী হয়ে দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদে বাংলাদেশ ম্যাচে ফিরেছে দারুণভাবে। দিন শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২২৭ রান। অথচ, প্রথম দুই সেশনে তাদের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ১৭৭। এক পর্যায়ে তৃতীয় উইকেটে শন উইলিয়ামস ও নিক ওয়েলচের জুটিতে ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল বাংলাদেশ। তবে গরমে পেরে না উঠে ওয়েলচ ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হয়ে ফিরে যাওয়ার পরই শুরু হয় জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং ধস। এই ধস নামানোর প্রধান কারিগর বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে নিজের ক্যারিয়ারের ১৬তম পাঁচ উইকেটের কীর্তি গড়েন তিনি। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন অফ স্পিনার নাঈম হাসান, যিনি নিয়েছেন ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে জিম্বাবুয়ের হয়ে ভালো সূচনা এনে দেন ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারান। ৪১ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙেন অভিষিক্ত তানজিম হাসান সাকিব, যিনি নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট হিসেবে বেনেটকে ফেরান। সমান ২১ রান করে ফেরেন কারানও, তাকে ফেরান তাইজুল। এরপর তৃতীয় উইকেটে ৯০ রানের জুটি গড়েন ওয়েলচ ও উইলিয়ামস। ৫৪ রানে ব্যাট করা ওয়েলচ হঠাৎই ক্র্যাম্পজনিত সমস্যায় ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হলে বাংলাদেশের জন্য খুলে যায় ম্যাচে ফেরার পথ। এরপর নাঈম হাসান দ্রুত ফিরিয়ে দেন ক্রেইগ আরভিন ও উইলিয়ামসকে। উইলিয়ামসের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৬৭ রান। এরপরই শুরু হয় তাইজুল ঝড়। এক পর্যায়ে টানা দুই ওভারে তিন উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। যদিও হ্যাটট্রিক হয়নি, তবে ৫ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করেন ৬০ রানে। শেষদিকে বাংলাদেশ ১০ম উইকেট তুলতে না পারার আফসোস নিয়ে মাঠ ছাড়লেও দিন শেষে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে জিম্বাবুয়ে ২২৭ রানে ৯ উইকেটে অপরাজিত থাকবে। ব্যাটিংয়ে রয়েছেন তাফাদজাওয়া সিগার (১৮) ও ব্লেসিং মুজারাবানি (২)।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More