মাথাভাঙ্গা মনিটর: জিম্বাবুয়ের মতো দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ১৫৭ রানের মাঝারি স্কোর তাড়া করে জয় ছিনিয়ে নিতে পারেনি তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ দল। ১১ রানের পরাজয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারে ২-১ ব্যবধানে। শেষ ১২ বলে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। উইকেটে ছিলেন আফিফ হোসেন ও মেহেদি হাসান। ১৯তম ওভারে মাত্র ৭ রান তুলতেই বাংলাদেশ হারায় মেহেদির উইকেট। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। লুক জঙ্গগুয়ের করা ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হন হাসান মাহমুদ। শেষ চার বলে ৭ রান করলেও জয় ছিনিয়ে নিতে পারেননি আফিফ-নাসুমরা। টার্গেট তাড়ায় ৩৪ রানে ৩ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপের মুখে পড়ে যায় বাংলাদেশ। দলীয় ৬০ রানে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১৪ ওভারের খেলা শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ৯৭ রান। জয়ের জন্য শেষ ৬ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৬০ রান। কিন্তু ১৫তম ওভারে বার্ড ইভানের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত আউট হলে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যায় বাংলাদেশ। আফিফ হোসেন ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলে ২৭ বলে তিন চারে ৩৯ রান করলেও দলের পরাজয় এড়াতে পারেননি। মঙ্গলবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাটিং করে জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের প্রথম ১৪ ওভারে ৬ উইকেটে ৭৬ রান করে দলটি এরপর রায়ান বার্ল ও লুক জঙ্গগুয়ের ব্যাটিং তা-বে শেষ ৬ ওভারে স্কোর বোর্ডে যোগ করে ৮০ রান। বার্ল-জঙ্গগুয়ের ব্যাটিং নৈপূণ্যে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান তুলতে সক্ষম হয় জিম্বাবুয়ে। দলের হয়ে ২৮ বলে ২টি চার আর ৬টি ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন রায়ান বার্ল। এছাড়া ২০ বলে চার বাউন্ডারি আর দুটি ওভার বাউন্ডারিতে ৩৫ রান করেন লুক জঙ্গগুয়ে। ইনিংসের ১৫ তম ওভারে নাসুম আহমেদকে টানা চার বলে ৪টি ছক্কা হাঁকান রায়ান বার্ল। পঞ্চম বলে চার আর শেষ বলে ফের ছক্কা হাঁকান তিনি। এই ওভারেই রেকর্ড ৩৪ রান আদায় করে নেন রায়ান বার্ল।